বরের বয়স ৮৫, কনের ১৩!
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০১৬, ১৫:১৮
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে এক বাল্যবিয়ের ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঐ গ্রামের ৮৫ বছর বয়সের বৃদ্ধ আবু মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে ১৩ বছরের শিশু সালমার।
নোয়াগাঁও মুতাঈদ বাড়ির অলি আহমেদের ছেলে আবু মিয়া ৪ সন্তানের জনক। অর্ধডজনেরও অধিক নাতি নাতনি রয়েছে তার। আবু মিয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরিয়ান পদে চাকরি করতেন। ৪৫ বছর চাকরি করার পর ২০০৫ সালের জুন মাসে তিনি অবসরে আসেন। তার প্রথম স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় অসুস্থ হয়ে মারা যান। কিছুদিন পরই আবু মিয়ার নজর পড়ে একই গ্রামের দিনমজুর রফিকুলের শিশুকন্যা সালমার (১৩) উপর।
বছরখানেক আগে সালমার বাল্যবিবাহ হয়েছিল নরসিংদীর এক ছেলের সঙ্গে। ছেলেটি মাদকাসক্ত ও দরিদ্র হওয়ায় বিয়ের ৩ দিন পরই তার বাবার বাড়িতে চলে আসে সালমা। ১ মাস আগে ওই ছেলেকে ডিভোর্স দিয়েছে সালমা। এরপর থেকেই সালমাকে বিয়ে করার জন্য উঠেপড়ে লাগে বৃদ্ধ আবু মিয়া।
মেয়েকে যৌতুক দেয়ার প্রস্তাব দেন। একপর্যায়ে সালমার পরিবার সম্মত হলেও বেঁকে বসেন কাজী। কারণ অপ্রাপ্ত বয়স্ক সালমা ডিভোর্স দিয়েছে মাত্র ১ মাস আগে। ৩ মাস না হলে দ্বিতীয় বিয়ের বিধান নেই। আবু মিয়া আশ্রয় নেয় নোটারি পাবলিকের। ২৬শে আগস্ট (শুক্রবার) শিশু সালমার সঙ্গে বিয়ে হয় আবু মিয়ার।
সালমাকে ১ বিঘা ফসলি জমি ও বাড়ির ২ শতাংশ জায়গা লিখে দিয়েছেন বৃদ্ধ স্বামী। শিশু ও বৃদ্ধের এমন বিয়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে গোটা উপজেলায়।
বৃদ্ধ আবু মিয়া অল্প বয়সী সালমাকে বিয়ে করার কথা স্বীকার করেন। অথচ উপজেলা প্রশাসন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাহিদা হাবিবা বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।