উৎসবে ডিএমপির ১০ নির্দেশনা

প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০১৬, ০১:৪৩

জাগরণীয়া ডেস্ক

সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন জঙ্গি হামলার পর এবার ঈদ, পূজাসহ যেকোনো উৎসবে আগের চেয়ে অনেক বেশি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। উৎসবের সময় বড় বড় শপিংমল এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলেও বিভিন্ন স্থানে অপরাধীরা সক্রিয় থাকে। এ কারণে ঈদ উপলক্ষে নগরবাসীর সতর্কতার জন্য সোমবার (২৯ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ফেসবুক পেজে ১০টি নিরাপত্তা বিষয়ক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

‘উৎসবকালীন বিশেষ সতর্কতা’ শিরোনামে ডিএমপির দেওয়া ১০ নির্দেশনা হলো-
 
১। ধর্মীয় উৎসব, নববর্ষ, বিভিন্ন জাতীয় দিবস এবং উৎসবের সময়ে রাস্তাঘাট, পার্ক এবং সংশ্লিষ্ট উৎসবস্থলে মানুষের ভিড় থাকে। এসব স্থানে পকেটমার, স্বর্ণালংকার চুরি, যৌন হয়রানির মতো বিষয়গুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
 
২। ঈদ, পূজা প্রভৃতি উৎসবের সময় শপিং সেন্টারে-মার্কেটে প্রচণ্ড ভিড় থাকে। ছিনতাইকারীসহ অন্যান্য প্রতারক চক্র এ সময় নিরীহ ক্রেতাদের তাদের শিকার বানানোর চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
 
৩। রাতে কেনাকাটা করা থেকে বিরত থাকুন। অধিক রাতে কেনাকাটা জরুরি হলে একা না গিয়ে কয়েকজন মিলে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
 
৪। যেসব উৎসবস্থলে অধিক ভিড় হওয়ার আশঙ্কা থাকে সেসব জায়গায় শিশুদের না নিয়ে যাওয়াই উত্তম।
 
৫। উৎসবস্থলের আশপাশে কিংবা মেলায় যেসব খাবারের স্টল থাকে, সেগুলোতে বেশিরভাগ সময়ই খাবারের জন্য চড়া মূল্য নেওয়া হয়ে থাকে। কাজেই খাওয়ার আগে দাম যাচাই করুন।
 
৬। আপনার সাথে যদি শিশু থাকে তাহলে শিশুদের অভিভাবকের পূর্ণ নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর কাগজে লিখে তাদের পকেটে রাখতে হবে।
 
৭। যানচলাচল নিয়ন্ত্রণের কারণে কখনো কখনো উৎসবস্থলে পৌঁছাতে কিংবা উৎসবস্থল থেকে বাড়ি ফিরতে বেশ কিছু পথ পায়ে হাঁটতে হতে পারে। পায়ে হাঁটতে সমস্যা থাকলে যাওয়ার আগে ভাবতে হবে।
 
৮। উৎসবের সময় ভিড়ের মধ্যে যেতে হলে ছোট বোতলে খাবার পানি সাথে রাখার কোনো বিকল্প নেই।
 
৯। উৎসবস্থলে কিংবা আশপাশে পুলিশের সহায়তাকেন্দ্র থাকলে প্রয়োজনে সাহায্য নিন।
 
১০। কোনো উৎসবস্থলে প্রবেশের আগে নিরাপত্তা চেকিংয়ের সম্মুখীন হলে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত