মেহমান আসায় স্ত্রীকে হত্যা, ৫ মাস পর স্বামী গ্রেপ্তার

প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:২৭

জাগরণীয়া ডেস্ক

চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানা এলাকায় স্ত্রী সর্জিনা আক্তারকে (২০) হত্যার অভিযোগে স্বামী হাসান আকন্দকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১২ এপ্রিল) মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার হাসারা দক্ষিন লস্করপুর এলাকা থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট তাকে গ্রেপ্তার করে। 

পিবিআই জানায়, গত বছরের ৩ নভেম্বর সর্জিনার মামা তাদের বাসায় বেড়াতে আসেন। তিনি চলে যাওয়ার পর বাসায় মেহমান আসা নিয়ে হাসানের সঙ্গে সর্জিনার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সর্জিনাকে মারধর এবং গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে হাসান। পরে সর্জিনার মরদেহ ঘটনার দিন রাতে ভাড়া ভাসার ছাদে থাকা পানি ট্যাংকে ফেলে দেয় হাসান। পরদিন সে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার দুদিন পর ৫ নভেম্বর সর্জিনার মরদেহ উদ্ধার করে ইপিজেড থানা পুলিশ। পরবর্তীতে ইপিজেড থানায় স্বামী হাসানকে একমাত্র আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী সর্জিনা আক্তার ইপিজেড এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন ও তার স্বামী হাসান রিকশা চালাতেন। হাসানের রিকশা চালানোটা পছন্দ করতেন না সর্জিনা। অন্যদিকে স্ত্রীকে হাসান একটু সন্দেহ করতেন। এছাড়া হাসান সর্জিনা আক্তারের আত্মীয়স্বজনের বেড়াতে আসাটা পছন্দ করতেন না। আবার সর্জিনা আক্তারকেও হাসানের বাবা-মা দেখতে পারতেন না। এজন্য চাইলেও সর্জিনাকে হাসান তার বাড়িতে রাখতে পারেননি। সবমিলিয়ে উভয়ের মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া হতো।

পিবিআই কর্মকর্তারা জানান, হত্যাকাণ্ডের পর হাসানকে গ্রেপ্তারে ছায়াতদন্ত শুরু করে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট। হাসান মোবাইলসহ কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার না করায় কোনোভাবে শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। উপরন্তু ঘনঘন স্থানও পরিবর্তন করে ও ছদ্মনামে অবস্থান করত সে। যাচাই-বাছাই শেষে নিশ্চিত হওয়া যায় সুমনই হাসান। পরে বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

হাসান আকন্দের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মাঝপাড়া আকন্দ বাড়ী এলাকায়। তার বাবার নাম আব্দুর রহিম। তার স্ত্রীকে নিয়ে চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা আয়েশার মার গলি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাদের সাত মাস বয়সী মো. হাসিব নামে একজন ছেলে রয়েছে।

জাগরণীয়া/ডিএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত