'রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও লজ্জাজনক'
প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:১৬
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় কর্তৃক সদ্য প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় বাবা মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবী তপন চক্রবর্তী ও দাদি শহীদজায়া উষা চক্রবর্তীর নাম অন্তর্ভুক্তিকরণকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও লজ্জাজনক বলে উল্লেখ করেছেন বাসদের বরিশাল জেলা সদস্যসচিব মনীষা চক্রবর্তী। ১৭ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বরিহাল জেলা বাসদের ফকিরবাড়ি রোডের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মনীষা চক্রবর্তী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, "মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদজায়ার নাম রাজাকারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা শুধু শহীদ পরিবারের জন্য নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব মানুষের জন্য লজ্জাজনক"।
সংবাদ সম্মেলনে মনীষা বলেন, "যে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় তপন চক্রবর্তীকে মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করেছে সেই একই মন্ত্রণালয় তাকে রাজাকারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য রাজাকারের তালিকা করা জরুরি। কিন্তু মহান বিজয় দিবসে রাজাকারের যে তালিকা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রকাশ করেছে তা প্রশ্নবিদ্ধ। কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়া একজন গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার বানিয়ে দেওয়ার এই প্রক্রিয়ার তদন্ত দাবি করছি"।
তিনি আরো বলেন, " আমি বরিশাল বাসদের সদস্যসচিব হওয়ায় আমার পরিবারের সঙ্গে এমন আচরণ করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত"।
সংবাদ সম্মেলন শেষে রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বরিশাল জেলার নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশে তপন চক্রবর্তী বলেন, "বিজয়ের ৪৮ বছর পর রাজাকারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছি। এখন আর বেঁচে থেকে লাভ কী? এ তালিকা বাতিল করে রাষ্ট্রকে ক্ষমা চাইতে হবে"।
সমাবেশ শেষে তপন চক্রবর্তী ও মনীষা চক্রবর্তী রাজাকারের তালিকায় অগ্নিসংযোগ করেন।