অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর করে গর্ভপাত, স্বামী গ্রেপ্তার
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০১৯, ১৮:৫৫
দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর করে গর্ভপাতের অভিযোগে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় ইসমাইল হোসেন (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ইসমাইল হোসেন টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার তেজপুর গ্রামের মৃত শরাফত আলীর ছেলে। ১৯ আগস্ট (সোমবার) রাতে সখীপুরের শৌখিন মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই ঘটনায় স্ত্রী নাজমুন্নাহার বাদী হয়ে সোমবার বিকেলেই ইসমাইলের বিরুদ্ধে সখীপুর থানায় মামলা করেন। ২০ আগস্ট (মঙ্গলবার) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করে আসছিলেন ইসমাইল। নাজমুন্নাহারের বাড়ি থেকে ইতমধ্যে তাকে দুটি মোটরসাইকেল দেয়া হয় এবং ৮ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশেও পাঠানো হয়। কিন্তু ছয় মাস বিদেশে থেকে দেশে ফিরে আসেন তিনি। দেশে ফিরে আবার ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন ইসমাইল। কিন্তু টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় প্রায়ই নাজমুন্নাহারকে নির্যাতন করতেন ইসমাইল।
গত ১৫ আগস্ট বিকেলে নাজমুন্নাহারকে মারধর করতে শুরু করেন ইসমাইল। একপর্যায়ে নাজমুন্নাহার এর তলপেটে লাথি মারলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে দুদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নাজমুন্নাহারের মা কোহিনুর বেগম বলেন, "যৌতুক না দেওয়ায় ইসমাইল প্রায়ই আমার মেয়েকে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক করত। আমার মেয়ে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। পেটে লাথি মারায় আমার মেয়ের গর্ভপাত হয়েছে"।
সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজুল ইসলাম বলেন, আলট্রাসনোগ্রাম প্রতিবেদন থেকে গর্ভপাতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। যৌতুক দাবি ও ভ্রূণ নষ্ট করার অভিযোগে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় আসামি ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।