পেট্রোলের আগুনে ঝলসে গেল কলেজছাত্রী
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০১৬, ১৯:৩৬
নওগাঁর আত্রাই উপজেলা সদরে প্রকাশ্য দিবালোকে জনাকীর্ণ রাস্তায় এক কলেজ ছাত্রীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে ঝলসে দিয়েছে তার প্রাক্তন স্বামী।
আত্রাই থানার অফিসার্স ইনচার্জ তদন্ত শামসুল ইসলাম জানিয়েছেন, রবিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় বিহারীনগর বাইপাস মোড়ে আত্রাই মোল্লা আজাদ মেমোরিয়াল কলেজের ইন্টামিডিয়েট দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শাহনাজ বেগমকে তার প্রাক্তন স্বামী সাদিকুল আলম খান সাজ্জাদ গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে শাহনাজের মুখমন্ডল এবং দুইহাত মারাত্মকভাবে ঝলসে গেছে। অসহ্য যন্ত্রনায় শাহনাজ নিকটেই একটি পুকুরে ঝাপ দেয়। এ সময় স্থানীয় উত্তেজিত জনতা সাজ্জাদকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
এদিকে মারাত্মক দগ্ধ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন শাহনাজ বেগমকে উদ্ধার করে আত্রাই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। পরবর্তীতে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামের মো. সখিনের কন্যা শাহনাজের বিয়ে হয় একই গ্রামের আব্দুস সালাম খানের ছেলে সাদিকুল আলম খান সাজ্জাদের সাথে। ২০১৫ সালে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে শাহনাজ লোখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিল। ইতোমধ্যে সাজ্জাদ অন্যত্র বিয়ে করে সংসার করতে থাকে। একই সাথে মোবাইলফোনে শাহনাজকে উত্যক্ত করতে শুরু করে এবং পুনরায় তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার দুপুরে সাজ্জাদ তাকে কথা বলার জন্য আসতে বলে। তাতে সারা না দিয়ে তার বান্ধবী মোছাঃ তাসলিমা খাতুন ও উম্মে হাবিবার সাথে চলে যেতে থাকেন। রাগান্বিত হয়ে সাজ্জাদ পকেট থেকে পেট্রোলের বোতল বের করে পুরোটা শাহনাজের শরীরে ঢেলে দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় শাহনাজের পিতা মোঃ সখিন মন্ডল বাদি হয়ে আত্রাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। একই সাথে তিনি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।