শিশুধর্ষণে জরিমানা, প্রশাসনের ভূমিকা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০১৯, ১৪:৩১

জাগরণীয়া ডেস্ক

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় সালিশের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করার ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। 

১৫ জুলাই (রবিবার) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশে আগামী ২১ জুলাইয়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে এ বিষয়টি আদালতকে জানাতে হবে।

গত ১২ জুলাই 'শিশু ধর্ষণে জরিমানা ১৪ হাজার টাকা' শীর্ষক একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদনকে আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম। আদালতকে তিনি জানান, এ ঘটনায় ০২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে কথা হচ্ছে, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও গ্রাম পুলিশ কীভাবে সালিশের মাধ্যমে ধর্ষণ ঘটনার মীমাংসা করলো। তারা তো পাবলিক সার্ভেন্ট। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। 

 আদালত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশে বলেন, যারা এই সালিশ করেছেন তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সালিশকারীরা সাত হাজার টাকা ভাগ করে নিয়েছেন। চাঁদাবাজি করেছেন। ওই টাকার ভাগ কে কে নিয়েছে? তাদের বিরুদ্ধে নারী-শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে কি-না? চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে কি-না সব দেখতে হবে। 

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এখানে ইউপি সদস্য নৈতিক স্খলনের দায়ে দোষী হবেন। প্রশাসন এ বিষয়ে কঠোর।

পরে আদালত আদেশ দেন। পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িত ইউপি সদস্য (মেম্বার), গ্রাম পুলিশসহ দোষীদের গ্রেফতার এবং জেলার এসপি, স্থানীয় ওসি ও ইউএনও সংশ্নিষ্টদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত