প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ, সাড়ে তিন মাস পর উদ্ধার

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০১৯, ১৭:২০

জাগরণীয়া ডেস্ক
প্রতারক রবিউল

ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণের প্রায় সাড়ে তিন মাস পর শেরপুরে এক কলেজছাত্রীকে (১৯) উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৩ জুন (রবিবার) রাতে ঐ কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রবিউল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নির্যাতিত মেয়েটি স্থানীয় একটি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরপুর শহরের এক সবজি বিক্রেতার মেয়ে। গ্রেপ্তার রবিউল পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের আবদুল লতিফ সর্দারের ছেলে। ২৪ জুন (সোমবার) সন্ধ্যায় বিচারিক হাকিম মো. শরীফুল ইসলাম খানের নির্দেশে রবিউলকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে গ্রেপ্তার রবিউলের বিরুদ্ধে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ফেসবুকে চার মাস আগে রবিউলের সঙ্গে ছাত্রীটির পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রবিউল ছাত্রীটিকে জানিয়েছিলেন তিনি একজন আইটি ইঞ্জিনিয়ার এবং কুমিল্লা ইপিজেডে চাকরি করেন। গত ১৩ মার্চ ঐ তরুণী শেরপুর শহরের বাসা থেকে কোচিং সেন্টারে যাওয়ার উদ্দেশে বের হলে রবিউল তাকে অপহরণ করে কুমিল্লায় নিয়ে যান। সেখানে একটি ভাড়া বাসায় রেখে মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন রবিউল। 

অপহরণের পরদিনই মেয়েটির বাবা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে রবিউল তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে জানতে পেরে গত ১৭ এপ্রিল তিনি বাদী হয়ে রবিউলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এরপর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমের নির্দেশে সদর থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আনসার আলী তদন্তে নামেন। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে গত রবিবার রাতে কুমিল্লা ইপিজেডের উমাইসার এলাকা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার ও রবিউলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আনসার আলী বলেন, ধর্ষণের ফলে মেয়েটি বর্তমানে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিচারিক হাকিম ফারিন ফারজানার আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারা মোতাবেক তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন। ২৫ জুন (মঙ্গলবার) দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে ছাত্রীটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। 

পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম বলেন, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে গ্রেপ্তার রবিউলের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল জানিয়েছেন এর আগে তিনি দুটি বিয়ে করেছেন এবং মিথ্যা কথা ও আশ্বাস দিয়ে একাধিক তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত