স্বামীকে খুন, স্ত্রীর স্বীকারোক্তিতে মিললো লাশ
প্রকাশ : ০৮ মে ২০১৯, ২২:৪৪
স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেন স্ত্রী, তারপর লাশ লুকিয়ে রাখেন আরেক বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে। স্ত্রীর দেয়া স্বীকারোক্তিতেই অবশেষে ৮ মে (বুধবার) দুপুরে সিলেটের কানাইঘাটে ফারুক আহমদ (৩০) নামে এক ব্যক্তির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ফারুক আহমদ ও হোসনা বেগম (২৮) এর সংসারে চার সন্তান। কিছুদিন ধরে স্বামীর চাচাতো ভাই মোস্তফার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন হোসনা বেগম। ফারুক এ ব্যাপারটি জানার পর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এর জেরে প্রেমিক মোস্তফাকে নিয়ে স্বামীকে খুন করার পরিকল্পনা করেন হোসনা।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৫ মে (রবিবার) গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ফারুক আহমদকে গলা কেটে হত্যা করেন হোসনা। হত্যার পর মরদেহ গুম করতে পার্শ্ববর্তী গোরকপুর গ্রামের প্রবাসী মাসুক আহমদের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন।
পরবর্তীতে স্বজনরা হোসনার কাছে ফারুকের খবর জানতে চাইলে তিনি জানান, রবিবার ভোরেই কাজের উদ্দেশে বেরিয়ে গেছেন ফারুক। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। কিন্তু অনেক খোঁজাখুজি করেও ফারুককে না পেয়ে, ৭ মে (মঙ্গলবার) রাতে নিহতের চাচা সমছুল হক কানাইঘাট থানায় একটি জিডি (সাধারণ ডায়রি) করেন।
এরপর তদন্তে নেমে পুলিশ ফারুক আহমদের বাড়িতে তার বসত ঘরের বিছানা ও ঘরের মেঝেতে রক্তের দাগ দেখতে পায়। এছাড়া পায়ের চিহ্নের আলামত সংগ্রহ করার পর স্ত্রী হোসনা বেগমকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন হোসনা। তার স্বীকারোক্তিতেই সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয় ফারুক আহমদের গলাকাটা লাশ।
ওসি বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত মোস্তফাসহ তার সহযোগীদের আটক করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।