কটিয়াদীতে চলন্ত বাসে নার্সকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে
প্রকাশ : ০৮ মে ২০১৯, ১১:৪৪
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চলন্ত বাসে হত্যাকাণ্ডের শিকার ঢাকার বেসরকারি হাসপাতালে নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়ার (২৩) ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
৭ মে (মঙ্গলবার) কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. রমজান মাহমুদ নিহত ঐ তরুণীর ধর্ষিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের তথ্য দিয়ে বলছে, সোমবার বিকালে ঢাকার মহাখালী থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে করে বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর যাওয়ার পথে গজারিয়া এলাকায় ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তানিয়া। বাসটি রাত সাড়ে ৯টার দিকে কটিয়াদি আসার পর তানিয়া ও অন্য দুই যাত্রী ছাড়া সবাই নেমে যায়। উজানচর এলাকায় ওই দুই যাত্রীও নেমে যায়। বাসটি গজারিয়া এলাকায় পৌছালে চালক ও সহকারী তাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে দেয়। সেখান থেকে এলাকাবাসী তাকে কটিয়াদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তানিয়ার বড় ভাই বাদল মিয়ার অভিযোগ, ধর্ষণের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাস রোধ করে তার বোনকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বাসের চালক নুরুল ইসলাম ও সহযোগি লালনসহ আরও পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সারোয়ার বলেন, থানা হেফাজতে চালক নুরুল ইসলাম শুরু থেকেই ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, মেয়েটি হঠাৎ করে জানালা দিয়ে লাফ দেন। কিন্তু বাসা থেকে মাত্র ১০ মিনিট দূরত্বে থাকা বাস থেকে মেয়েটি কেন হঠাৎ লাফিয়ে পড়লেন- সে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি চালক।
এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালের ডা. রমজান মাহমুদ বলেন, ময়নাতদন্তে ধর্ষণ ও আঘাতজনিত কারণে ওই তরুণীর মৃত্যুর আলামত মিলেছে। এছাড়া ডিএনএ ও প্যাথলজিক্যাল টেস্টের জন্য আলামত সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে।
নিহত শাহিনুর আক্তার তানিয়া (২৩) কটিয়াদি উপজেলার লোহাজুড়ি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। তিনি রাজধানী ঢাকায় ইবনে সিনা হাসপাতালে নার্স হিসাবে কর্মরত ছিলেন বলে পরিবার জানিয়েছে।