টাঙ্গাইলে পাকিস্তানি কিশোরী ধর্ষণ, ২ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:২২
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বাংলাদেশে বেড়াতে আসা পাকিস্তানি এক কিশোরীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আল আমীন ও তার ভাই সুমনকে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ২৪ এপ্রিল (বুধবার) গোপালপুর আমলি আদালতের বিচারক রুপম কুমার দাস এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ২৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) কুড়িগ্রাম থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সেদিনই বিকেলে ভিকটিম কিশোরী দোভাষীর মাধ্যমে টাঙ্গাইলের বিচারিক হাকিম আদালতে জবানবন্দি দেয়। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নওরিন মাহবুব তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোপালপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদেকুর রহমান বলেন, আদালতে আসামি আল আমিন ও তার ভাইয়ের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। অন্যদিকে আল আমিনের মা তার জামিন আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেন। পরে শুনানি শেষে আদালত তাদের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বর্তমানে ওই কিশোরী টাঙ্গাইলের একটি হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান এসআই সাদেকুর রহমান।
উল্লেখ্য, চাকরির সুবাদে গোপালপুর এলাকার বাংলাদেশি এক নাগরিক পাকিস্তানে বসবাস করেন। প্রায় ২০ বছর আগে পাকিস্তানের এক মেয়েকে বিয়ে করে সেখানকার নাগরিক হয়ে যান তিনি। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। পিতৃভূমি দেখার জন্য ৫ মাস আগে মেয়েটি তার মাকে সঙ্গে নিয়ে গোপালপুরে চাচার বাড়িতে বেড়াতে আসে।
বাংলাদেশে আসার পর থেকে ঐ কিশোরীর আরেক চাচার ছেলে আল-আমিন তাকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। গত ১৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঐ কিশোরীকে একা পেয়ে আল-আমিন তার সহযোগীদের সহায়তায় মেয়েটিকে অপহরণ করে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যায়। পরদিন ১৭ এপ্রিল ঐ কিশোরীকে ধর্ষণ করে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি থানার মহিষাকান্দি এলাকায় ফেলে রেখে যায় আল-আমিন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা একটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশের পাশাপাশি র্যাব সদস্যরাও আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর থানার পঞ্চনগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।