অসুস্থ শিশুকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ, চিকিৎসক গ্রেপ্তার

অসুস্থ ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ‘ওষুধে অজ্ঞান করে’ ধর্ষণ করায় সাইফুল ইসলাম নামে এক পল্লী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে ঝিনাইদহের পুলিশ। 

গত ২১ এপ্রিল (রবিবার) ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সেজিয়া বাজারে নাজ ফার্মেসিতে এ ঘটনা ঘটে বলে স্বজনের অভিযোগ। গ্রেপ্তার সাইফুল মহেশপুর উপজেলার নেপা ইউনিয়ানের সেজিয়া গ্রামের খোদাবন্দীপাড়ার নুর মোহাম্মাদের ছেলে। পল্লি চিকিৎসক হিসেবে তিনি স্থানীয় বাজারে নাজ ফার্মেসিতে বসেন।

শিশুটির পরিবারের বরাত দিয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস বলেন,  জ্বরাক্রান্ত মেয়েটিকে গত ২০ এপ্রিল (শনিবার) রাতে সেজিয়া বাজারে সাইফুল ইসলামের নাজ ফার্মেসিতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় মেয়েটির বাবা। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে পল্লী চিকিৎসক সাইফুল মেয়েটিকে রবিবার সকালে আবারও ডাক্তারখানায় যেতে বলে। সে অনুযায়ী শিশুটিকে একাই রবিবার সকালে নাজ ফার্মেসীতে পাঠান শিশুটির বাবা। মেয়েটি সেখানে গেলে সাইফুল ইসলাম একটি ইনজেকশন ও একটি ট্যাবলেট খাওয়ালে মেয়েটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপরই সাইফুল তাকে ধর্ষণ করে।

রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রথমে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। বর্তমানে মেয়েটি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের খবর পেয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পল্লী চিকিৎসক সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।