সুবর্ণচরে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামির আত্মসমর্পণ
প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:২৫
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ছয় সন্তানের জননী গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আবুল কালাম বেচু ওরফে বেচু মাঝি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে।
০৩ এপ্রিল (বুধবার) দুপুর পৌনে ১টার দিকে বেচু নোয়াখালীর ২নং আমলি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। দুপুরের পর ২ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নবনিতা গুহের আদালতে তাকে তোলা হবে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-হলো- উত্তর বাগ্যা গ্রামের সেকান্দার মিয়ার ছেলে রুবেল (২২), একই গ্রামের ইউছুফ মাঝির ছেলে আরমান (২৪) ও আবুল কাশেমের ছেলে রায়হান (২০)। এর আগে ওই মামলায় সোমবার দুপুরে উত্তর বাগ্যা গ্রামের আবুল বাশার ও ইউসুফ মাঝিকে সুবর্ণচর থেকে গ্রেফতার করে ডিবি ও চরজব্বার থানা পুলিশ। এ মামলায় আট আসামির মধ্যে এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হলো। তবে ঘটনার পর থেকেই প্রধান অভিযুক্ত আসামি ছেলে বেচু মাঝি (৪০) পলাতক ছিল।
একই আদালতে গ্রেফতার অন্য পাঁচ আসামির রিমান্ড আবদনের শুনানি হবে। পুলিশ পাঁচ আসামির সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ (রবিবার) উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের জেরে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে আবারও এক নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণ ও তার স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠে।
চিকিৎসাধীন ওই নারী সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজউদ্দিনের (চশমা) সমর্থক হিসেবে তার পক্ষে কাজ করার সময় অপর প্রতিপক্ষ ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরহাদ চৌধুরী বাহারের (তালা) সমর্থক আমি ও আমার স্বামীকে হুমকি দেয় এবং ভোটে বাহারকে ভোট দিতে বলে। আর বাহারকে ভোট না দিলে ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করে। এরপর ভোটকেন্দ্রে গেলে আমাদের আবারও বাহারকে ভোট দিতে চাপাচাপি করে। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে বাক বিতণ্ডা হয়।
এরপর ভয়ে আমরা ভোটের দিন এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেই। সন্ধ্যায় স্বামীর মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে বাহারের লোকজন আমাদের পথরোধ করে। পরে বেচু মাঝি, বজলু ও আবুল বাসার আমাকে পাশে রুহুল আমিনের মৎস্য খামারে নিয়ে ধর্ষণ করে।”
এসময় ঐ নারীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ৩১ মার্চ (রবিবার) রাতে ওই নারী ও তার স্বামীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরদিন ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।