গণধর্ষণের মূল আসামিকেই বিয়ে, দাবি ভিকটিমের!

গণধর্ষণের মূল আসামিকে বিয়ে করেছেন ঐ ঘটনার শিকার তরুণী নিজেই। এমনকি প্রধান আসামিকে নিজের স্বামী দাবি করে আদালতে তার জামিন আবেদন করেছেন ঐ তরুণী। গত ১৩ মার্চ (বুধবার) দিনাজপুরে আদালতে শুনানি চলাকালে এই অভিনব ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি থেকে হেঁটে নানির বাড়িতে যাওয়ার সময় দিনাজপুরের কাটলায় অভিযুক্ত পাঁচজন ঐ তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। রাতে জ্ঞান ফেরার পর তিনি দেখেন তার হাত বাঁধা। হাতের বাঁধন খুলে কোনভাবে তিনি নানার বাড়িতে যান এবং পরদিন পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোহেল রানা বলেন, ঐ তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মূল হোতা ছিল উপজেলার বেনিপুর গ্রামের শাহিন আলম। গত ৭ মার্চ নবাবগঞ্জ উপজেলায় এক বন্ধুর বাড়ি থেকে শাহিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেদিনই শাহিনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। কিন্তু গত বুধবার ভিকটিম নিজেই দিনাজপুর আমলি আদালত-৬–এর জ্যেষ্ঠ বিচারক শিশির কুমার বসুর আদালতে রিমান্ড শুনানির সময় জানান, গত ৩ মার্চ তিনি শাহিনকে বিয়ে করেছেন। এসময় বিচারকের কাছে শাহিনের রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন করেন ঐ তরুণী। তবে বিচারক শুনানি শেষে শাহিনের রিমান্ড ও জামিন দুটোই নামঞ্জুর করেছেন।

তবে তদন্ত কর্মকর্তা সোহেল রানার দাবি, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শাহিন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছিলেন। মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার তিন আসামিই পুলিশের কাছে ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচজনের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

এদিকে তরুণীটি দাবি করেছেন, শাহিন আলমের সঙ্গে তার আগে থেকে সম্পর্ক ছিল। এমনকি মামলার পর থেকে শাহিনের সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগও ছিল। পরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে তারা বিয়ে করেছেন।