যশোরে শিশু ধর্ষণ-হত্যায় সন্দেহভাজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০১৯, ১৫:২৬
যশোরে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী তৃষা (৮) ধর্ষণ ও হত্যায় সন্দেহভাজনদের ধরতে পুলিশি অভিযানে কথিত বন্দুকযুদ্ধে শামীম (২৮) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তাকে এলাকাবাসী তৃষাদের প্রতিবেশীর ভাড়াটিয়া হিসেবে শনাক্ত করেছে। তৃষার লাশ উদ্ধারের পর থেকেই শামীম পালাতক ছিলেন বলে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানিয়েছে পুলিশ।
০৫ মার্চ (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে শহরতলীর খোলাডাঙ্গার একটি পরিত্যক্ত রাইস মিলে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
অভিযানের বর্ণনায় যশোর কোতয়ালি থানার ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, তৃষাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন কয়েকজন খোলাডাঙ্গার একটি পরিত্যক্ত রাইস মিলে অবস্থান করছে এমন খবর পেয়ে গভীর রাতে সেখানে অভিযানে যায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুল ছুঁড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে মিলের পাশের মাঠে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শামীমকে উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সাথে ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ানশুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও ৫০টি ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ গুলিবিদ্ধ শামীমকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহমেদ তারেক শামস জানান, ভোরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত তৃষা শহরের খোলাডাঙ্গা এলাকার তরিকুল ইসলামের মেয়ে ও কারবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
নিহত তৃষার বাবা তরিকুল ইসলাম বলেন, ০৩ মার্চ (রবিবার) বিকেলে আরবি পড়ে বাসায় আসে তৃষা। এরপর খেলতে বের হয়ে আর বাসায় ফিরেনি সে। এলাকায় মাইকিংসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে ০৪ মার্চ (সোমবার) সন্ধ্যায় এলাকার ডোবায় তার বস্তাবন্দি মরদেহ পাওয়া যায়। খবর জানতে পেরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে, শিশু কন্যা তৃষা ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ও সন্দেহভাজন খুনি শামিমের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্তসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। শহরতলীর ধর্মতলায় যশোর-ঝিনাইদহ সড়ক অবরোধ করে শত শত নারী, পুরুষ ও শিশু শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশ নেয়। এ সময় তারা সন্দেহভাজন খুনি শামীমের আটক ও বিচার দাবি করে স্লোগান দেয়।