চকবাজারে আগুন: দীর্ঘ হচ্ছে মৃতের সারি
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:৩৯
![](https://bangla.jagoroniya.com/templates/jagoroniya-v1/images/jagoronia.png)
![](/assets/news_photos/2019/02/21/image-18247.jpg)
রাজধানীর চকবাজারের নন্দ কুমার দত্ত রোডের কয়েকটি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। বৃহস্পতিবার দুপুর বেলা দেড়টার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই অগ্নিাকণ্ডে ৭৮টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ এক ব্রিফিংয়ে জানান, অগ্নিকাণ্ডে ৭৮টি মরদেরহ উদ্ধার হয়েছে। আগুনের কারণ এখনও জানা যায়নি।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে; যা আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদনে দেবে বলে জানান তিনি।
নিহতদের মধ্যে ৬৬ জন পুরুষ, সাতজন নারী ও পাঁচটি শিশু রয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। নিহতদের অধিকাংশকেই শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ; খোঁজ নেই অনেকের।
এর আগে বুধবার রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে লাগা এই আগুনে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৭০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সাঁটানো বোর্ডে তথ্য দেয়া হয়েছে।
সকালে ৮ টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন্স অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, এ পর্যন্ত ৭০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৪১ জনকে দগ্ধ ও আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) রাত সাড়ে ১০টার পর চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানসনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ওয়াহিদ ম্যানসনের নিচতলায় প্লাস্টিকের গোডাউন ছিল। ওপরে ছিল পারফিউমের গোডাউন।
এলাকাবাসী বলছেন, ওই ভবনের কারখানা থেকে আগুন ছড়িয়েছে।
খবর পেয়ে এ আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন বলে জানায় ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম।
এদিকে আগুন নেভানোর বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ বিষয়ে রাত সাড়ে ৩টার দিকে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মেদ খান বলেন, এখানে আসার রাস্তাটির দু’পাশই সরু। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সহজে ঢুকতে পারেনি। তবে শেষ পর্যন্ত কয়েকঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। ভবনে দাহ্য পদার্থ থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। মোট পাঁচটি ভবনে আগুন লেগে যায়।
আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে এমন এক প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকনের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হচ্ছে। তদন্ত করলেই বোঝা যাবে।