পারিবারিক কলহের জেরে জাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার অভিযোগ
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:০০
পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর বাসায় জেসি ইসলাম নামে জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সদ্য সাবেক এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও প্রতিবেশীরা বলছেন, এটি আত্মহত্যা নয়, হত্যাকাণ্ড। কারণ যে ঘরে জেসির মরদেহ পাওয়া গেছে সেখানে গলায় ফাঁস দেয়ার মত জায়গা নেই।
২০ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঢাকার সাভারের রেডিওকলোনি থেকে জেসির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওই ছাত্রীর বন্ধু ও সহপাঠীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জাবির অর্থনীতি বিভাগের ৪০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন জেসি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১ তম ব্যাচের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সজিব সাহা শুভ্রর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল জেসির। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে থেকে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন তারা। তাদের দুইজনেরই গ্রামের বাড়ি মাগুরায়।
বছর তিনেক আগে পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেন সজিব ও জেসি এবং কিছুদিন আগে বিষয়টি জানাজানি হলে জেসির পরিবার বিয়ে মেনে নেয়নি এবং জেসিকে ফিরে যেতে চাপ দেয়।
জেসি ও শুভ্রর পরিচিতরা জানিয়েছেন, শুভ্র মাদকাসক্ত। আর এ নিয়ে কয়েক মাস ধরে দারুণ হতাশায় ভুগছিলেন জেসি। এসব কারণেই তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন তার বন্ধুরা।
জেসির সর্বশেষ ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখা ছিল, 'সম্পর্ক গুলোর গুরুত্ব দিন দিন আমার কাছে কমেই চলেছে। একদিন প্রতিটা সম্পর্ককে অনেক সময় দিয়েছি,সম্পর্ক গুলোকে টিকিয়ে রাখতে অনেক ইফোর্টও দিয়েছি। তবে আজ মনে হয় সবটাই ভুল ছিল।'
অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন বলেন, এভাবে একজন মেধাবী ছাত্রীর চলে যাওয়া দুঃখজনক।
এদিকে, এ ঘটনায় জেসির স্বামীকে প্রথমে পুলিশ আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয়।
সাভার মডেল থানা পুলিশের ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোন একসময় জেসি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়। বাবা ও স্বামীর লিখিত অনাপত্তিপত্রের কারণে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দুপুরে বাবার কাছে জেসির মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।