লাশের গলায় ঝুলছে ‘আমি ধর্ষণের মূল হোতা’
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:৩০
দল বেঁধে ধর্ষণের পর পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার প্রধান আসামি রিপন (৩৯) এর গুলিবিদ্ধ লাশের গলায় ঝোলানো একটি চিরকুটে লেখা ছিল- ‘আমি ধর্ষণ মামলার মূল হোতা’। নিহত রিপন ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ থানা এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে। তিনি ধর্ষণের পর মৃত্যুবরণ করা ঐ নারীর সাথে একই পোশাক কারখানার লাইন চিফ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৮ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাতে সাভারের খাগান এলাকার আমিন মডেল টাউনের ভেতরে একটি খালি মাঠে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে রিপনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সাভার মডেল থানার ওসি আবদুল আউয়াল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে কে বা কারা রিপনকে গুলি করে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে, আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বলেন, গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আশুলিয়ার গোরাট এলাকায় ১৬ বছর বয়সী এক পোশাক কর্মী গণধর্ষণের শিকার হন। সেদিন সন্ধ্যায় কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে পাঁচজন তার পথরোধ করে কারখানার পেছনে নিয়ে গিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। ৭ জানুয়ারি নরসিংহপুরের নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ধর্ষণের শিকার ঐ তরুণীর মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ওই কারখানার কর্মী আবদুর রহিম, লাইন চিফ রিপন ও ক্যান্টিন মালিক শিপনসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামিদের মধ্যে রহিমকে মামলা হওয়ার দিনই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।