‘গণতন্ত্রের স্বার্থে বিএনপিকে সংসদে আসার আহবান’
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:৩১
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বিজয়ীদের গণতন্ত্রের স্বার্থে সংসদে আসার আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১২ জানুয়ারি (শনিবার) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যৌথসভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান। গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর শনিবারের যৌথসভাই ছিল দলীয় নীতিনির্ধারণী ফোরামের প্রথম কোনো বৈঠক, যেখানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে মনোনয়ন বাণিজ্য করায় বিএনপিকে বাংলাদেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। এ বাণিজ্য না হলে হয়তো তারা আরও ভালো ফল করতে পারতেন। তারপরও যে কয়টা আসনে তারা জিতেছে, গণতন্ত্রের স্বার্থে তাদের সংসদে আসা প্রয়োজন।
নির্বাচনে বিএনপির পরাজয় প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রধান আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচনে হেরেছে, এই দোষটা তারা কাকে দেবে? দোষ দিলে তাদের নিজেদেরকেই দিতে হয়। কারণ এই নির্বাচনে তাদের কোনো নেতৃত্ব ছিল না। একটি রাজনৈতিক দলের যদি সঠিক নেতৃত্ব না থাকে, তাহলে সেই রাজনৈতিক দল কীভাবে নির্বাচনে জয়ের কথা চিন্তা করতে পারে?
নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ মহাজোটের বিশাল বিজয়ের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এবারের নির্বাচনটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। তবে কিছু কিছু জায়গায় বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করতে গেছে। কোথাও তারা নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করেছে। তবে রাষ্ট্র পরিচালনায় আমরা জনগণের সেবক হিসাবে কাজ করতে পেরেছি।
ফের সরকার গঠনের সুযোগ দেওয়ায় দেশের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ এবং ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে সব থেকে লক্ষ্যণীয় বিষয় ছিল, মানুষের মধ্যে একটা স্বতঃস্ফূর্ততা এবং ভোট দেওয়ার জন্য আগ্রহ ছিল। বিশেষ করে এদেশের তরুণ সমাজ, যারা প্রথম ভোটার এবং নারী সমাজের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের মাঝে এই আকাঙ্খার সৃষ্টি হয়েছে,আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তারা ভালো থাকবেন, দেশটা ভালো চলবে। দেশের উন্নতি হবে। এই উপলব্ধির কারণেই তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছেন।
বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সদ্যপ্রয়াত দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। একই সঙ্গে এই জননেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে গভীর শোক প্রকাশ করেন তিনি।
যৌথসভার শুরুতে দলের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভার এজেন্ডা তুলে ধরেন। এরপর দলের প্রধান শেখ হাসিনার সূচনা বক্তব্য শেষে তার সভাপতিত্বে রুদ্ধদ্বার যৌথসভা শুরু হয়। শুরুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন দলের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। এরপর সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনসহ দলের সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় এবং দেশের সর্বশেষ আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।