চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলেন শেখ হাসিনা
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৪৪
চতুর্থবারের মতো ও টানা তৃতীয়বার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ হলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
৭ জানুয়ারি (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ পড়ান। এসময় শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাজেদা চৌধুরীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর পর একে একে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরাও শপথ নেন।
রাষ্ট্র পরিচালনায় এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গী হচ্ছেন ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রী।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা হিসেবে পুনর্নির্বাচিত করা হয়। গত ৩ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের (এমপি) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিনই রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করলে রাষ্ট্রপতি তাকে সরকার গঠনের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান। এরপর ৬ জানুয়ারি তরুণ-প্রবীণদের সমন্বয়ে ৪৬ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেন শেখ হাসিনা। ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীসহ ৪৭ সদস্যের মন্ত্রিপরিষদ শপথ গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে নবম সংসদ ও ২০১৪ সালে দশম সংসদের পর এবার একাদশ সংসদে টানা তৃতীয় মেয়াদে সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ সালে সপ্তম সংসদেও সংসদ নেতার ভূমিকায় ছিলেন তিনি।
নতুন মন্ত্রিসভার ২৪ মন্ত্রী হলেন- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে ওবায়দুল কাদের, কৃষি মন্ত্রণালয়ে মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসাদুজ্জামান খান, তথ্য মন্ত্রণালয় ড. হাছান মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আনিসুল হক, অর্থ মন্ত্রণালয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ কে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এম এ মান্নান, শিল্প মন্ত্রণালয়ে নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে গোলাম দস্তগীর গাজী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে জাহিদ মালেক, খাদ্য মন্ত্রণালয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে টিপু মুনশি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নুরুজ্জামান আহমেদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে মো. শাহাব উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বীর বাহাদুর উ শৈ সিং, ভূমি মন্ত্রণালয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রলণালয়ে মো. নুরুল ইসলাম সুজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে মোস্তাফা জব্বার।
আর ১৯ প্রতিমন্ত্রী হলেন- শিল্প মন্ত্রণালয়ে কামাল আহমেদ মজুমদার, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ইমরান আহমেদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে জাহিদ আহসান রাসেল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে নসরুল হামিদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে মো. আশরাফ আলী খান খসরু, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মো. জাকির হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মো. শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে জুনাইদ আহমেদ পলক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ফরহাদ হোসেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে স্বপন ভট্টাচার্য, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে জাহিদ ফারুক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে মো. মুরাদ হাসান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে কে এম খালিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ডা. মো. এনামুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে মো. মাহবুব আলী এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
উপমন্ত্রীরা হলেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে বেগম হাবিবুন নাহার, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে এ কে এম এনামুল হক শামীম এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরী।