সেপটিক ট্যাংকে শিশুর লাশ, ধর্ষণের অভিযোগ
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:০১
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার গাবতলা গ্রামে সেপটিক ট্যাংক থেকে আট বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৬ জানুয়ারি (রবিবার) সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধার করা হয়। শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিহত শিশুর নাম সুস্মিতা দাস। সে গাবতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ জয়প্রকাশ সরকার নামের এক প্রতিবেশী এক একাদশ শ্রেণির ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
সুস্মিতার বাবা প্রশান্ত দাসের অভিযোগ, প্রতিবেশী এক বাড়িতে কলেজ পড়ুয়া এক মেয়ের কাছে প্রতিদিন বিকেলে প্রাইভেট পড়তে যেতো সুস্মিতা। রবিবার সন্ধ্যায় ঐ প্রাইভেট শিক্ষক বাড়িতে না থাকায় তার ভাই জয়প্রকাশ সরকার সুস্মিতাকে পড়াতে বসে। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সুস্মিতাকে ধর্ষণ করে জয়প্রকাশ। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সুস্মিতা মারা গেছে ভেবে তাকে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেয়। পরে গ্রামবাসী সুস্মিতাকে খোঁজার জন্য পুকুরে জাল ফেলার কথা বললে জয়প্রকাশ গোপনে পুকুর থেকে লাশ তুলে সুস্মিতাকে তাদের শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে। পরে রাত ১১টার দিকে পুলিশ সুস্মিতার লাশ উদ্ধার করে। এ সময় জয়প্রকাশকে আটক করা হয়।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ জানান, এই ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য সুস্মিতার লাশ আজ সোমবার সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জয়প্রকাশ সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হলেও আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি।