“ধর্ষকরা যেন আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে না যায়”
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৪৪
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধর্ষণের ঘটনায় ছয়-সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা যেন আইনের নানা ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে না যায়- বললেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নারী সেলের নেত্রী লক্ষ্মী চক্রবর্তী।
৫ জানুয়ারি (শনিবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নারী সেলের সদস্যরা। সেসময় তারা ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও সেই এলাকার পাশাপাশি সারাদেশে নারীদের নিরাপত্তার নিশ্চিতের দাবী জানান।
সিপিবির নারী সেলের নেত্রী লক্ষ্মী চক্রবর্তী বলেন, আমরা ঐ গ্রামে গিয়ে দেখেছি, নারীদের মধ্যে অনেক শঙ্কা কাজ করছে। ধর্ষকরা আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে এলাকায় গিয়ে তান্ডব চালাবে কীনা আমরা বলতে পারছি না। তাই আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, বিচারটি যেন বিচারের প্রহসনে পরিণত না হয়। সঠিক সময়ের মধ্যে সরকারকে বিচার করতে হবে। তা না হলে এরকম ঘটনা বাড়তেই থাকবে এদেশে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মাকসুদা আক্তার লাইলি বলেন, “প্রতিবার নির্বাচনের সময় নারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি, নির্বাচনেরপরেকতোজন ধর্ষণের শিকার হবে, কয়টা সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হবে, লুটপাট করা হবে। এসব ভেবে আমরা মানসিকভাবে উদ্বিগ্ন থাকি। এসবের অবসান হোক।”
মানববন্ধন শেষে প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নারী নেত্রীরা।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রাতে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের পরিকল্পনায় ১০/১২ জন মিলে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে চল্লিশোর্ধ এক নারীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার ঐ নারী বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।