শহীদ হলেই সোজা জান্নাত!

প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০১৬, ০১:১১

জাগরণীয়া ডেস্ক

গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে জঙ্গি হামলা, শোলাকিয়া এসব ঘটনায় উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জড়িত থাকার খবর প্রচারের পর থেকেই আলোচনায় আসে কী করে এসব শিক্ষিত তরুণরা জঙ্গি হয়ে উঠছে? কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের পর জব্দকৃত জঙ্গিদের ল্যাপটপ থেকে দেখা যায় কিভাবে সোজা জান্নাত যাওয়ার পথ দেখানো হচ্ছে এসব তরুণদের।

রাজধানীর কল্যাণপুরে অপারেশন স্টর্ম-২৬ পরিচালনার পর গোয়েন্দা সংস্থা জব্দ করে জঙ্গিদের বেশ কয়েকটি ডিজিটাল ডিভাইস। সেখান থেকে পাওয়া যায় একটি ছবি। ছবিটিতে ফ্লো-চার্টের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে জান্নাতে যাওয়ার ছক। জঙ্গিদের তৈরি এই ছকে দেখা যায় ছয়টি পদ্ধতিতে একজন মানব সন্তানের জান্নাত কিংবা জাহান্নাম নির্ধারণ হয়। তবে জঙ্গিদের তৈরি ছকে উল্লেখ করা আছে, যদি ‘শহীদ’ হয় তবে সরাসরি জান্নাত লাভ হবে।

পুরো ছবিটি ব্যাখ্যা করলে দেখা যায়, প্রথমেই রুহ জগত থেকে মানব সন্তান আসবে মায়ের গর্ভে। সেখান থেকে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই লাভ করবে মানবজীবন। তারপর একসময় মৃত্যু। মৃত্যুর পরে কেউ জান্নাতেও যেতে পারে অথবা জাহান্নামেও যেতে পারে। তবে জঙ্গিদের আঁকা ছকে দেখা যায়, মৃত্যুর পাশেই রেডমার্ক করা আছে ‘শহীদ’, যা সরাসরি জান্নাতে নিয়ে যাবে।

এছাড়াও দেখা যায়, জাহান্নামে দুই ধরনের মানুষের অবস্থান হবে। এদের মধ্যে কেউ হবে স্থায়ী এবং কেউ হবে অস্থায়ী। কাফির, মুশরিক, মুনাফিক, মুরতাদ কোনোদিন পাবে না জান্নাতের স্বাদ। তবে জাহান্নামী মুসলিমরা একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ঠিকই পৌঁছে যাবেন জান্নাতে। এছাড়া সরাসরি জান্নাতেও প্রবেশ করবেন শুধুমাত্র মুসলিমরা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শোলাকিয়া ঈদগাহের খতিব মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ বলেন, "কিছু দুষ্কৃতকারী দুর্বৃত্ত নিজেদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কুরআন ও হাদিসের অপব্যাখ্যা দিয়ে ইসলামের নামে বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। মানুষের চোখে ইসলামকে একটা বর্বর নিষ্ঠুর ও সন্ত্রাসী ধর্মরূপে চিত্রিত করছে। এতে সরলমনা কেউ কেউ বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছে। কিন্তু এটা পরিস্কার, মানুষ হত্যা করে জান্নাত নয়, জাহান্নামের পথ তৈরি হবে। মানুষকে দ্বীনের পথে, শান্তির পথে আহ্বান জানিয়েই জান্নাতের স্বপ্ন দেখা যায়; নিরীহ মানুষকে অতর্কিতভাবে হত্যা করে নয়"।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত