গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন সীমিত: সুলতানা কামাল
প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০১৬, ১৮:৩৯
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও টিআইবি চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, গণতন্ত্র না থাকলে উন্নয়ন সীমিত হয়ে যায়। গণতন্ত্র যত সীমিত হবে, উন্নয়নও তত সীমিত হতে থাকবে।
শনিবার (৬ আগস্ট) সকালে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ‘টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে সীমিত গণতন্ত্র গ্রহণযোগ্য কী না’ এ বিষয়ে বিএফডিসিতে এক ছায়া সংসদীয় বিতর্ক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারি দলের কিছু নেতা ও সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী দেশের টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে সীমিত গণতন্ত্রের পক্ষে যুক্তি দিয়ে আসছেন। অন্যদিকে, বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের কথা বলছে। এই প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুলতানা কামাল বলেন, উন্নয়নের জন্য গণতন্ত্রের বিকল্প নেই এবং উন্নয়ন হতে হবে গণতান্ত্রিক কাঠামোতে। যেসব রাজনৈতিক দল নীতিগতভাবে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তারা ক্ষমতায় এলে গণতান্ত্রিক সংকটের সৃষ্টি হয়। আবার যারা নীতিগতভাবে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে কিন্তু গণতান্ত্রিক আচরণ করে না এবং জনমতকে উপেক্ষা করে তাদের হাতেও গণতন্ত্রের সুরক্ষা হয় না।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে জনগণের বাক স্বাধীনতা, ব্যক্তি নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের স্বপ্নপূরণ করবে রাজনীতিকরা, শুধু শাসক দল নয়। দেশ পরিচালনার মূলে থাকতে হবে জনগণ।
বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সূচিতা শারমিন ও উন্নয়ন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড.এস.এম মোর্শেদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ছায়া সংসদে সরকারি দল স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে বিরোধী দল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বিতর্কে জয়ী হয়। পরে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী বিতার্কিকদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।