গাড়ির কাগজ ফেরত নিতেই কেয়ারটেকারকে ধর্ষণ ও হত্যা
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৪৯
সিলেটের মোগলাবাজারে শর্ত ভঙ্গ করে গাড়ির কাগজ ফেরত নিতেই প্রবাসীর বাড়ির নারী তত্ত্বাবধায়ক আছিয়া বেগমকে ধর্ষণ ও পরে হত্যা করা হয় বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন চার ঘাতক।
৩০ সেপ্টেম্বর (রবিবার) সন্ধ্যায় সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে হত্যাকাণ্ডর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে হত্যার বর্ণনা দেয় গ্রেপ্তার তিন যুবক। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, বাড়ির মালিক আবু বক্কর ও হেলাল আহমদ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। সীমানা প্রাচীর ঘেরা নির্জন বাড়িটিতে আছিয়া তার দুই ছেলে সুমন আহমদ (১০) ও ইমন আহমদ (১৫) নিয়ে বসবাস করে আসছেন। বেশকিছুদিন আগে পূর্ব পরিচিত লেগুনা চালক সুমন আছিয়া বেগমের কাছ থেকে গাড়ির কাগজ জমা দিয়ে ১০ হাজার টাকা নেন। ঘটনার কিছুদিন আগে টাকার জন্য আছিয়া সুমনকে চাপ দিলে সুমন গাড়ির টাকা না দিয়ে কাগজ উদ্ধারের পরিকল্পনা করে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ইলেকট্রিশিয়ান ৩ বন্ধুকে নিয়ে চারজন বাড়িতে ঢোকে আছিয়া ও তার ১০ বছরের ছেলেকে বেঁধে ফেলে। এসময় আছিয়ার বড় ছেলে ইমন আহমদ নগরীতে একটি দোকানে কাজে ছিল।
এসময় তারা ঘর উলট পালট করে গাড়ির কাগজ খোঁজে । এরপর বিছানায় বেঁধে রাখা আছিয়াকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর সুদের ২০ হাজার টাকার বিপরীতে গাড়ির কাগজ ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর (রবিবার) পৃথক অভিযান চালিয়ে আছিয়া বেগম হত্যার ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে মোগলাবাজার থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার ইউনিয়নের রাঘবপুর গ্রামের নুনু মিয়ার ছেলে আব্দুল বাছিত (২০), তুরখকলা গ্রামের মাওলানা আকবর আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মাহাদি (১৮) ও বিন্নাকান্দি গ্রামের মৃত ইনসান আলীর ছেলে কামিল আহমদ তাজমুল।
পরে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।