প্রধানমন্ত্রীর ফিরতি ফ্লাইটের পাইলটকে প্রত্যাহার
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:৩৫
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফিরতি ফ্লাইটের সিডিউলে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭-এর পাইলট ক্যাপ্টেন ফারাহাত জামিলকে ‘নিরাপত্তাজনিত’ কারণে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
২৯ সেপ্টেম্বর (শনিবার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে আনতে যাওয়া ফ্লাইটের ককপিটে বসার পর তাকে নামিয়ে এনে তাকে অফলোড করা হয়েছে।
জানা গেছে, ক্যাপ্টেন ফারাহাত জামিলের পরিবর্তে ওই ফ্লাইট অপারেট করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পাইলট ক্যাপ্টেন গোলাম মোহাম্মদ খাজাকে। এ কারণে লন্ডন থেকে ফ্লাইটটি ছাড়তে দেড় ঘণ্টা বিলম্বিত হয়।
এ বিষয়ে জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ বলেন, অপারেশন শাখা আমাকে জানিয়েছে, চাকা লাগানোর জন্য লন্ডন ফ্লাইট দেড় ঘণ্টা দেরি হয়েছে। ফারাহাতকে তাহলে কেন প্রত্যাহার করা হয়েছে? -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী লন্ডনগামী ফ্লাইট ছাড়ার পূর্বমুহূর্তে কেবিন ক্রু মাসুমা মুফতিকে হযরত শাহ জালাল বিমানবন্দরে ব্রিফিং রুমে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত করা হয়। প্রতিটি ফ্লাইট ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের আগেই পাইলট ও ক্রুরা মাদক গ্রহণ করেছেন কি-না, তা নিশ্চিত করতে ডোপ টেস্ট করা হয়। বিমানের নিয়ম অনুযায়ী ডোপ টেস্টে প্রমাণ মিললে কোনও ব্যক্তিকে পরবর্তী ৯০ দিন কোনও ডিউটি না দেওয়ার বিধান রয়েছে।
বিষয়টি জানা সত্ত্বেও বিমানের শিডিউল বিভাগের কাছে এ তথ্য গোপন করেন ফ্লাইটের ডিজিএম (কেবিন ক্রু)নুরুজ্জামান রঞ্জু। ঘটনাটি মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার পর তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
এসময় ক্যাপ্টেন ফারহাত জামিল প্রকাশ্য মুফতি ‘ভালো মেয়ে’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং ওই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। শুধু তাই নয়, একই ফ্লাইটের পাইলট ইন চিফ হিসেবে লন্ডন চলে যান ফারহাত জামিল। কিন্তু তার বিরুদ্ধে বিমান কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। অবশেষে শনিবার তাকে প্রত্যাহার করা হয়।