স্ত্রী ও ২ সন্তান হত্যার দায়ে ১জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০১৬, ১৭:৫২
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার দায়ে আলমগীর হোসেন (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। দণ্ডিত আলমগীর হোসেন মঠবাড়িয়ার পাঠাকাটা গ্রামের বাসিন্দা।
সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিল্লুর রহমান এ রায় দেন। এসময় আসামি অনুপস্থিত ছিলেন। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি খান মো. আলাউদ্দিন। আর আসমির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল কবির বাদল।
আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর পাঠাকাটা গ্রামে আলমগীর হোসেনের সঙ্গে বিউটি রানী নামে এক নারীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে আলমগীরের সঙ্গে তার স্ত্রী হাফিজার (৩৫) প্রায়ই কথা কাটাকাটি হত।
২০০৮ সালের ২২ জুন রাতে আলমগীর হাফিজাকে বাতের ইনজেকশন দেওয়ার পরিবর্তে অজ্ঞান করার ইনজেকশন দেন এবং ছেলে আশরাফুর রহমান (১১) ও মেয়ে জামিলাকে (৩) ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। এরপর তাদের গলা কেটে হত্যা করে চিৎকার করতে থাকেন এবং বলেন ডাকাত তাদের হত্যা করেছে। আত্মীয়-স্বজনদেরও তিনি ফোন করে এ কথা জানান। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আলমগীর হত্যার কথা স্বীকার করেন।
এ ঘটনার পরদিন হাফিজা বেগমের ভাই আবুল বাশার বাদী হয়ে আলমগীরের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। আলমগীর হাইকোর্ট থেকে জামিনে বের হওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি খান মো. আলাউদ্দিন বলেন, ওই রাতেই হাফিজা বেগমের ভাই আবুল বাশার মঠবাড়িয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আলমগীরকে মঠবাড়িয়া থানার পুলিশ ২০০৮ সালের ২৪ জুন গ্রেপ্তার করেছিল। পরে ২০১৬ সালে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে তিনি পলাতক হন।