নিহত মীমের বাসায় এরশাদ

বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় নিহত শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মীমের বাসায় গিয়ে সমবেদনা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ সময়ে নিহত মীমের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।

৩ আগস্ট (শুক্রবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মহাখালীতে মীমের বাসায় গেলে তার বাবা-মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে মীমের পরিবারের খোঁজখবর নেন সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

মীমের মায়ের মাথায় হাত বুলিয়ে সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, মা, তোমার সন্তানের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে দুঃখিত, আমরা শোকাহত। এই শোক প্রকাশের ভাষা আমাদের জানা নেই। আমরা দুঃখিত বলতে এসেছি।

এরশাদের কাছে মীমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম তার আরেক মেয়ে রুকাইয়া খানমের জন্য একটি সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান। এরশাদ তাকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

জাহাঙ্গীর আলম গাড়ি চালিয়ে তিন ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ চালান। মহাখালীর একটি বাসায় মাসে ১০ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে থাকেন তিনি। 

সাবেক এ প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা নিরাপদ সড়ক চাই। দেশের অধিকাংশ গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই।

এ সময় আরও ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, সৈযদ আবু হোসেন বাবলা এমপি ও এসএম ফয়সল চিশতী।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কের জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের বাম পাশে বাসের জন্য অপেক্ষা করার সময় জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাসের রেষারেষিতে বাস চাপায় ঘটনাস্থলেই শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া আক্তার মিম ও আব্দুল করিমের মৃত্যু হয়। এছাড়া বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর থেকেই নিরাপদ সড়কসহ ৯ দফা দাবীতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা।