পদক পেলেন ৩৯ ব্যক্তি ও ৩ প্রতিষ্ঠান
আজ জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০১৮, ১১:৫৫
আজ জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস। বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবার বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ সোমবার (২৩ জুলাই) জাতীয় ও জেলাপর্যায়ে সিভিল সার্ভিসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘জনপ্রশাসন পদক-২০১৮’ প্রদান করা হবে। প্রতি বছর ২৩ জুলাই জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস পালন হয়ে আসছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সিভিল সার্ভিসের সদস্যদের জনস্বার্থকে সবসময় প্রাধান্য দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ। এ জন্যই সিভিল সার্ভিসের প্রত্যেক সদস্যকে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সবসময় জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। জনপ্রশাসনকে হতে হবে উন্নয়ন ও জনকল্যাণমুখী। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিক সেবা সহজ, সুলভ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করতে হবে।
বর্তমান সিভিল সার্ভিসে যুগের চাহিদা অনুযায়ী অনেক গুণগত পরিবর্তন এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে, প্রণয়ন করা হয়েছে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল। তিনি আশা করেন, নাগরিকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সঠিক ও সর্বোত্তমভাবে দ্রুত সেবা প্রদানে সিভিল সার্ভেন্টদের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সর্বোচ্চ মেধা, শ্রম ও আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। আমি আশা করি, উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রজাতন্ত্রের সব কর্মচারী সর্বোচ্চ মেধা, শ্রম ও আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে তিনি প্রজাতন্ত্রের সব কর্মচারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি হচ্ছে প্রযুক্তিনির্ভর, আর্থিক সাশ্রয়ী ও সময়োপযোগী প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং দক্ষ সিভিল সার্ভিস। বাংলাদেশের সিভিল প্রশাসন সরকারের নির্বাহী অঙ্গ হিসেবে দেশের জনগণের সেবা ও কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।