ওসমানী হাসপাতালে ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০১৮, ১২:০৯
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকের হাতে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই (মঙ্গলবার) হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগের প্রধান ডা. এনকে সিনহাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার সকাল থেকেই কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. দেবপ্রদ রায়। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা বিব্রত। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ।
আর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে মঙ্গলবার নির্যাতিতা কিশোরীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৫ জুলাই সিলেট নগরের বনকলা পাড়ার বাসিন্দা অসুস্থ নানীর সঙ্গে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ছিল ঐ কিশোরী। কিন্তু সেই ওয়ার্ডে চিকিৎসক না থাকায় রোগীর ঐ নাতনি ১৫ জুলাই দিবাগত রাত ৩টার দিকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে হাসপাতালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসক মাহমুদের কক্ষে যান। ফাইল নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকদের বিশ্রাম কক্ষে আটকে রেখে ভয় দেখিয়ে ঐ কিশোরীকে ধর্ষণ করে মাহমুদ। পরে ১৬ জুলাই ভোরবেলা ঘটনাটি জানাজানি হলে হাসপাতালে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় ওই ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেছেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক মাকামে মাহমুদ ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা এলাকারা মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেলের ৫১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।