রোগীর স্বজনকে ধর্ষণ, ইন্টার্ন চিকিৎসক আটক
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০১৮, ০০:০৫
রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজনকে ধর্ষণের অভিযোগে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার মাকামে মাহমুদ ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা এলাকারা মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেলের ৫১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
১৬ জুলাই (সোমবার) ভোর রাতে হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীর নাতনি বলে জানা যায়।
ভিকটিমের স্বজনরা জানান, নগরের বনকলা পাড়ার বাসিন্দা অসুস্থ নানীর সঙ্গে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ছিল ঐ কিশোরী। কিন্তু সেই ওয়ার্ডে চিকিৎসক না থাকায় রোগীর ঐ নাতনি ভোর রাত ৩টার দিকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে হাসপাতালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসক মাহমুদের কক্ষে যান। এসময় ইন্টার্ন চিকিৎসক মাকামে মাহমুদ তাকে ধর্ষণ করে। পরে ভোরবেলা ঘটনাটি জানাজানি হলে হাসপাতালে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
সকাল ৮টার দিকে মেয়ের বাবা-মা ওসমানী মেডিকেলের পরিচালকের কাছে মাকামে মাহমুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে হাসপাতালের চিকিৎসক, পুলিশ ও ভিকটিমের স্বজনদের মধ্যে বৈঠক হয়। বেলা দেড়টা পর্যন্ত বৈঠক চলার পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসককে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এ কে এম মাহবুবুল হক বলেন, "ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ওই স্কুলছাত্রীর স্বজনদের এবং ওই চিকিৎসককে নিয়ে বৈঠক করি। বৈঠকে মেয়ের পক্ষ এবং ওই ইন্টার্নের পক্ষ থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা না হওয়ায় মাহীকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে"।
কোতোয়ালি থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার গোলাম কাউসার দস্তগীর বলেন, "অভিযুক্ত মাকামে মাহমুদকে আটক করা হয়েছে। ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ভিকটিমকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে"।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এ কে এম মাহবুবুল হক এ ব্যাপারে বলেন, "ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া সব ওয়ার্ডের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে"।