‘পরিকল্পিত পরিবার দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত’
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০১৮, ১২:২৪
পরিকল্পিত পরিবার একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত। পরিকল্পিত পরিবার খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য মানবাধিকার পূরণের পাশাপাশি সুখী সমৃদ্ধ দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের আয়তন, অবস্থান, জনসংখ্যা, প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে পরিকল্পিত পরিবার গঠনের বিকল্প নেই-বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১১ জুলাই ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্থ-সবল জাতি গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পিত পরিবার গঠনে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, গণমাধ্যম, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আরও সক্রিয় এবং আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, একজন নারীর জীবনে সন্তান সংখ্যা এবং দুই সন্তানের মাঝে বিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। ফলে তার নিজের ও সন্তানের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হয়। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার হ্রাস পায়। আমরা চাই দেশের প্রতিটি পরিবার হবে তাদের স্বেচ্ছা সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পরিকল্পিত। এ অধিকার সুরক্ষিত করতে দেশের প্রত্যেক সক্ষম দম্পতির কাছে চাহিদা অনুযায়ী পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশুস্বাস্থ্য সেবা এবং তথ্য পৌঁছে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তার সরকার পরিকল্পিত পরিবার গঠনের মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার রোধ করে দারিদ্র্য বিমোচনসহ শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের হার বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। প্রতি ৬ হাজার জনগোষ্ঠীর জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের মাধ্যমে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এদিন ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ পালন করা হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘পরিকল্পিত পরিবার, সুরক্ষিত মানবাধিকার’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি বাণীতে উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার পরিকল্পিত পরিবার গঠনের মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার রোধ করে দারিদ্র্য বিমোচনসহ শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের হার বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। প্রতি ৬ হাজার জনগোষ্ঠীর জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের মাধ্যমে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠকর্মীগণ সপ্তাহে তিন দিন কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশুস্বাস্থ্য এবং কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক সেবা প্রদান করছে। আমাদের সরকারের এসব উদ্যোগের ফলে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাস পেয়েছে এবং পরিকল্পিত পরিবারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
সূত্র: বাসস