‘ধর্ষণ মামলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল অ্যাভিডেন্স’
প্রকাশ : ১৪ মে ২০১৮, ১৬:৫৯
ধর্ষণ মামলায় দ্রুত মেডিকেল অ্যাভিডেন্স সংগ্রহের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। যথাযথ অ্যাভিডেন্স এর অভাবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় অনেক সময় সাজা দেয়া সম্ভব হয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
১২ মে (শনিবার) বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের বর্ধিত ভবন মিলনায়তনে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি আয়োজিত ‘বিচার প্রার্থীদের প্রত্যাশা ও জেল আপিল মামলা পরিচালনায় আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘একটি কথা এসেছে যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় সাজার হার মাত্র ৩ শতাংশ। কী কারণে তিন পার্সেন্ট হচ্ছে, এ বিষয়টি আমাদের বের করতে হবে। দরকার হলে এর ওপর ওয়ার্কশপ করা যেতে পারে। এটির ওপর বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা যেতে পারে। কারণ কোর্ট বিচার করবে অ্যাভিডেন্সের ওপরে। যথাযথ অ্যাভিডেন্স না থাকলে কিন্তু সাজা দেওয়া অসম্ভব।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ধর্ষণের মামলায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো মেডিকেল অ্যাভিডেন্স। আমাদের এখানে সর্বোচ্চ তিন দিন, চার দিন, সাত দিন ও পনেরো দিন পরে যাচ্ছে মেডিকেল অ্যাভিডেন্স। অর্থাৎ মেডিকেল পরীক্ষা হচ্ছে অনেক পরে। এতে আলামত থাকছে না, যথাযথ অ্যাভিডেন্স কোর্টে আসছে না। সুতরাং এসব ব্যাপারে কোর্টকে অভিযুক্ত করার আগে দেখতে হবে গলদটা কোথায়। সেই গলদ শনাক্ত করতে হবে।’
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আরো বলেন, ‘আমরা যদি ধর্ষণের মামলার মেডিকেল অ্যাভিডেন্স দ্রুত সংগ্রহ করতে পারি বা শক্তিশালী অ্যাভিডেন্স যদি কোর্টে আসে, তাতে আসামির খালাস পাওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। সুতরাং এ ধরনের মামলায় মেডিকেল অ্যাভিডেন্স সংগ্রহের ব্যাপারে যত্নশীল হতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রাব্বানী, অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল ইকবাল হাসান, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক মো. জাফরোল হাছান প্রমুখ বক্তব্য দেন।