গাইবান্ধায় ২ গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ
প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০১৮, ০১:৪৫
২১ এপ্রিল (শনিবার) দুপুরে গাইবান্ধায় পৃথক স্থান থেকে দুই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত দুই গৃহবধূর নাম ঊর্মি বেগম (২০) ও ফুলুরানী বেগম (৪০)।
নিহত ঊর্মি বালুপাড়া গ্রামের মনিম মিয়ার স্ত্রী। জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের বালুপাড়া গ্রাম থেকে ঊর্মির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে ফুলুরানী ভাজাকালাই গ্রামের গোফফার মিয়ার স্ত্রী। সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ভাজাকালাই গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূ উর্মির পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের জের ধরে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করা হয় ঊর্মিকে। শনিবার সকালে পাশবিক নির্যাতনেই তার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ বাথরুমে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে তার স্বামী মনিম।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘাতক স্বামী মনিমকে আটকের চেষ্টা চলছে।
অপরদিকে, ফুলুরানীর পরিবারের অভিযোগ, কিছুদিন থেকে স্বামী গোফফারের সঙ্গে তারও পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। এর জের ধরে ২০ এপ্রিল (শুক্রবার) রাতে ফুলুরানীকে পিটিয়ে হত্যা করে তার মরদেহ স্থানীয় একটি নদীর পাশে ধান ক্ষেতে ফেলে রাখে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। শনিবার সকালে স্থানীয় জেলেরা মাছ ধরতে গিয়ে মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন জানান, ফুলুরানীর স্বামী গোফফার ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে এলে তার কথায় অসঙ্গতি থাকায় তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় থানায় অপমুত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।