নড়াইলের ঐতিহ্যবাহী অষ্টকগান অনুষ্ঠিত
প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০১৮, ১২:৫২
অষ্টকগানে নাচছে ছেলেমেয়েরা | ফাইল ফটো
জেলার বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অষ্ট সখীসহযোগে গান লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঘরানা হলো অষ্টকগান। সাধারণত চৈত্র মাসের শেষ দিকে চৈত্র সংক্রান্তিকে সামনে রেখে গ্রামে গ্রামে হাটবাজারে এ গান পরিবেশিত হয়ে থাকে।
জানা গেছে, নড়াইলের রাধা-কৃষ্ণ, শিব-দুর্গা, রামায়ণ-মহাভারতের কাহিনী ছাড়াও পণপ্রথা, সাম্প্রদায়িক প্রসঙ্গ, কৃষি সমস্যা, বৃক্ষ রোপণ, সমাজের অসঙ্গতি বা শিক্ষামূলক বিষয় প্রভৃতি অষ্টকগানের বিষয়বস্তু। অষ্ট সখীসহযোগে এ গান পরিবেশিত হয় বলে একে অষ্টক গান বলা হয়েছে। এটি একটি গোষ্ঠীবদ্ধ নৃত্যসহ সাঙ্গীতিক পরিবেশনা। সামনে অষ্ট সখী এবং পেছনে হারমোনিয়াম, বেহালা, বাঁশি, কাসি, কর্তালসহযোগে এ গান পরিবেশিত হয়। অষ্টক গান বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি অংশ। নড়াইল সদরের বাহিরডাঙ্গা গ্রামের প্রয়াত স্বভাবকবি বিপিন সরকার অসংখ্য অষ্টকগান ও অষ্টক যাত্রাপালা লিখেছেন এবং সুর করেছিলেন।
প্রবীন ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যুগ যুগ ধরে নড়াইল পৌর এলাকার বাহিরডাঙ্গা, দুর্গাপুর, বাঁশভিটা, মুলিয়া, এগারখানসহ বিভিন্ন এলাকার নমশুদ্র স¤প্রদায় লোকসংস্কৃতির এ ঘরানাকে লালন করে আসছে।
অষ্টকগানের দলের সাথে কথা বলে জানাগেছে, শহরের বিভিন্ন স্থানে আমাদের মত অনেক দল অষ্টকগান পরিবেশ করে থাকে। বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে এবং বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অষ্টকগান পরিবেশন করেন এ সময় বাসা-বাড়িক মালিক বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ওই গানের দলকে খুশি মনে অর্থ প্রদান করা হয়ে থাকে। এ অর্থ দিয়ে পূজা-পার্বণ করা হয় বলে তারা জানান।
বাহিরডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সহকারী অধ্যাপক গোলকচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘মুরুব্বিদের কাছে শুনেছি, নড়াইল অঞ্চল থেকেই অষ্টক গানের সৃষ্টি। এর ধারাবাহিকতা এখনও বহমান ।’
সূত্র: বাসস