গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০১৮, ০১:৫১
চট্টগ্রামে তরুণীকে গণধর্ষণ ও পুড়িয়ে হত্যা মামলায় ঘটনায় তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় ওই তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও দেয়া হয়েছে।
৪ এপ্রিল (বুধবার) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোখসানা পারভীন তিনজনের ফাঁসির রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সুজন কুমার দাশ, সমীর দে ও যদু ঘোষ। আসামিদের মধ্যে সুজন ছাড়া অন্যরা পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১১ সালের ৮ জুন নগরের দক্ষিণ কাট্টলীর মহাজন শ্মশান এলাকায় পোশাককর্মী পান্না রানী দাসকে মোবাইলফোনে ডেকে নেন সমীর দে ও যদু ঘোষ। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, দক্ষিণ কাট্টলী এলাকায় হরি মন্দিরের কাছে বটগাছের নিচে কেরোসিন রেখে দেন আসামিরা। পান্না রানী দাস তাদের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে আসলে প্রথমে তাকে ধর্ষণ ও পরে কেরেসিন ঢেলে পুড়িয়ে মেরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন আসামিরা।
এ ঘটনায় নিহত পান্নার বোন চন্দনা রানী দাশ বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরু হয়। ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দেন।
মামলার বাদী চন্দনা রানী দাশ সাংবাদিকদের বলেন, রায়ের আমরা সন্তুষ্ট। শীঘ্রই যেন অন্য আসামিরা ধরা পড়ে এটাই চাই এবং শাস্তি যেন দ্রুত কার্যকর হয়। উচ্চ আদালতেও যেনো এই রায় বহাল থাকে এই আশা করছি।