নৌকায় ভোট চাওয়া আমার রাজনৈতিক অধিকার
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০১৮, ২৩:২৭
আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আমি নৌকায় ভোট চাইবো। এটা আমার রাজনৈতিক অধিকার-বললেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা।
৩১ মার্চ (শনিবার) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের শুরুতে বক্তৃতাকালে এ মন্তব্য করেন। শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বৈঠকটি শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী পদে থাকাবস্থায় নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ার বিষয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের নেত্রী হিসেবে নৌকায় ভোট চাওয়া আমার রাজনৈতিক অধিকার। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে অবশ্যই আমাদের সবাইকে জনগণের কাছে যেতে হবে। আমি যেখানে যাবো, সেখানেই ভোট চাইবো। সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে জনগণকে বোঝাতে হবে একমাত্র নৌকায় ভোট দিলেই জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে একটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন। তারপর যারাই এসেছিল কেবল নিজের উউনয়ন করেছে, দেশের উন্নয়ন করেনি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী করা হলো, এদেশের ক্ষমতা তুলে দেওয়া হলো তাদের হাতে।
বর্তমান সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিএনপি তাদের আখের গুছিয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য ঠিক রেখে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ গ্রহণের কারণেই দেশের উন্নতি হচ্ছে। যারা উন্নতি চায় না তাদের চোখেই উন্নতি ধরা পড়ে না।
এ সময় তিনি রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় আন্তর্জাতিক বিশ্ব আমাদের পক্ষে বলছে, বিশ্ব এখন আমাদের সঙ্গে। মানবতার কারণেই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আমাদের জন্য বাড়তি চাপ হলেও আমরা সেই সংকট মোকাবেলা করেছি। এই সংকট দ্রুত নিরসন হবে এবং মিয়ানমার সরকার তাদের ফিরিয়ে নেবে এটাই প্রত্যাশা। রোহিঙ্গাদের থাকার জন্য ভাসান চরে ঘর বাড়ি, আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানেই দেশের উন্নতি। ২০০৮ সালের পরে ২০১৪ সালে আবারও ভোটের মধ্যদিয়ে টানা দ্বিতীয় বারের মতো ক্ষমতায় আসি আমরা। সরকারের ধারাবাহিকতা থাকায় উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে যে উপাত্তগুলোর প্রয়োজন ছিল, তার প্রত্যেকটিই আমাদের অর্জন হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত হতে পারবো। ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী আমরা পালন করবো ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশে।