চলে গেলেন পাইলট আবিদের স্ত্রী আফসানা
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০১৮, ১২:০০
স্বামীর মৃত্যুর শোক শেষ পর্যন্ত কাটিয়ে উঠতে না পেরে চিরদিনের জন্য বিদায় নিলেন পাইলট আবিদের স্ত্রী আফসানা খানম।
২৩ মার্চ (শুক্রবার) সকালে সাড়ে ৯ টায় রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
গত ১২ মার্চ নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস২১১ ফ্লাইটটির পাইলট ছিলেন আবিদ। প্রথমে আবিদ আহতাবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা যায়। কিন্তু পরে তার মৃত্যুর খবর আসলে ভেঙে পড়েন আবিদের স্ত্রী আফসানা। স্বামীর শোকে গত ১৮ মার্চ (রবিবার) হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন আফসানা। প্রচন্ড মাথার যন্ত্রণায় আক্রান্ত আফসানাকে প্রথমে উত্তরার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এবং পরে শেরেবাংলা নগরের নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
সেসময় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক বদরুল আলম জানিয়েছিলেন,ব্রেন স্ট্রোক করেছেন আফসানা। আফসানার বায়োক্যামিকেল প্যারামিটারে পরিবর্তন এসেছে। তার সোডিয়াম লেভেল বেড়ে গেছে। এইটা এই মুহূর্তে একমাত্র শঙ্কার কারণ। গত ২১ মার্চ (বুধবার) সকালে সাত সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়।আমরা লাইফ সাপোর্ট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আফসানার হার্ট, কিডনি, লিভারসহ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গ স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে। তার ব্লাড প্রেশারও স্বাভাবিক আছে। কিন্তু ব্রেইন কাজ করছে না তার।
অবশেষে ২৩ মার্চ (শুক্রবার) সকালে না ফেরার দেশে চলে গেলেন আফসানা। আবিদ ও আফসানা দম্পতির এক পুত্র সন্তান রয়েছে। নাম তানজিদ সুলতান। সে উত্তরায় নানার বাসায় থাকছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ (সোমবার) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ ৭১ জন আরোহী ছিলেন ওই ফ্লাইটে। এর মধ্যে ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশের চার ক্রুসহ ২৬, নেপালের ২২ ও চীনের একজন যাত্রী রয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি, ১১ জন নেপালি ও একজন মালদ্বীপের।