বিএস২১১ ফ্লাইট বিধ্বস্ত
নেপালে ছুটি কাটানো হয়নি হাসি-রকিবুল দম্পতির
প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০১৮, ১৭:১৪
নেপালে ছুটি কাটানো হয়নি রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সহকারী অধ্যাপক ইমরানা কবির হাসি এবং তার স্বামী প্রকৌশলী রকিবুল হাসানের। গত ১২ মার্চ (সোমবার) নেপালে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলার বিএস২১১ বিমানটির যাত্রী ছিলেন হাসি ও রকিবুল।
টাঙ্গাইল পৌর এলাকার হাজেরা ঘাটের মেধাবী হাসি রুয়েটে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। সেখানে ম্যাধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে প্রভাষক হিসেবে নিযুক্ত হন এবং পরে সহকারী অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। অপরদিকে, সিরাজগঞ্জের চৌহালী থানার বাগুটিয়া গ্রামের রকিবুল রুয়েট থেকে পাস করে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
হাসির বাবা ব্যাংক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, ছুটি কাটানোর জন্য নেপালের উদ্দেশে সোমবার ঢাকা ছেড়েছিলেন স্বামী-স্ত্রী দুজনেই। তারপরই বিমান দুর্ঘটনা আর সব কিছু তছনছ হয়ে গেলো। হাসির স্বামী রকিবুল ইসলাম নিহত হয়েছে। তার লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। হাসি নেপালের একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে জেনেছি। হাসির সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন হুমায়ুন কবির।
উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে ইউএস বাংলার বিএস ২১১ ফ্লাইটটি ১২ মার্চ (সোমবার) দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে নেপালের কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এবং স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকালে বিধ্বস্ত হয়।
বিমানে ৬৭ জন যাত্রীদের মধ্যে পুরুষ ৩৭ ও নারী ২৮ জন ছিলেন, শিশু ছিলেন দুইজন। এর মধ্যে ৩২ জন বাংলাদেশি, ৩৩ জন নেপালি, একজন মালদ্বীপের এবং একজন চীনের নাগরিক। এছাড়া ফ্লাইটটিতে দুইজন পাইলট ও দুইজন বিমানকর্মী ছিল। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পুলিশের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ি, ইউএস বাংলার বিএস ২১১ ফ্লাইট বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা ৫০। চিকিৎসাধীন যাত্রীদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ফ্লাইটের সহকারি পাইলট এবং ইউএস বাংলার প্রথম নারী পাইলট প্রিথুলা রশিদের প্রথমেই মৃত্যু হয়। নিজের মৃত্যুর আগে ১০ জন নেপালী যাত্রীর প্রাণ বাঁচান এই সাহসী বৈমানিক। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ক্যাপ্টেন আবিদ।