খালেদা জিয়ার জামিনের আদেশ ১২ মার্চ
প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০১৮, ২০:৫৫
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায়ের নথি আদালতে না পৌঁছানোয় তার জামিনের বিষয়ে আদেশ হয়নি আজ রবিবার (১১ মার্চ)। আগামীকাল ১২ মার্চ (সোমবার) দুপুর ২টায় এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
১১ মার্চ (রবিবার) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের বেঞ্চ জামিনের বিষয়ে আদেশের জন্য পরবর্তী এ তারিখ ধার্য করেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি শেষ করে হাইকোর্ট বলেছিলেন, এই মামলার নথি বিচারিক আদালত থেকে আসার পর তার জামিন বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে খালেদা জিয়ার শরীরিক অবস্থা, বয়স ও সামাজিক পরিচয় বিবেচনা করে দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারায় পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সব আসামির দণ্ডের পাশাপাশি ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা অর্থদনণ্ড দেওয়া হয়। এই অর্থ ৬০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রের অনুকূলে আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের এই রায়ের অনুলিপি প্রকাশিত হয়। পরের দিন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন। মূল রায়সহ ১ হাজার ২শ ২৩ পৃষ্ঠার আপিল আবেদনে ৪৪টি যুক্তি দেখিয়ে খালেদা জিয়ার খালাস চাওয়া হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে খালেদা জিয়ার পক্ষে একটি জামিনের আবেদন দাখিল করা হয়। এর পর ঐ দিন আপিলের বিষয়ে শুনানি হয়। সেদিন আদালত আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে নথি তলব করেন। এছাড়া অর্থদণ্ডের আদেশ স্থগিত করেন।
তবে জামিন আবেদনের বিষয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য ধার্য করেন। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি তার জামিন আবেদনের শুনানি হয়। সেদিন শুনানি শেষ করে নথি হাইকোর্টে পৌঁছানোর পর আদেশ দেবেন বলে জানান আদালত।
খালেদা জিয়ার জামিনের পক্ষে তার আইনজীবীদের যুক্তি হচ্ছে, ‘আপিলকারীর মাত্র পাঁচ বছরের সাজা হয়েছে। এক্ষেত্রে জামিন দেওয়ার বিষয়টি একমাত্র আদালতের এখতিয়ার। এ ধরনের অল্প সাজার ক্ষেত্রে জামিন মঞ্জুর দীর্ঘদিনের রেওয়াজ। তাছাড়া আপিলকারীর বয়স ৭৩ বছর। নানা ধরণের সমস্যায় ভুগছেন।’
এর আগে আওয়ামী লীগের জেষ্ঠ্য আইনজীবীরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘এ ধরণের অল্প সাজার ক্ষেত্রে জামিন দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। আদালত বিবেচনা করলে খালেদা জিয়া জামিন পাবেন।’
তবে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য হচ্ছে, ‘এ মামলায় আগেই জামিন নয়। দ্রুততার সাতে পেপারবুক তৈরি করে এ মামলার আপিলের শুনানি করা হোক’।