শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ভাষা শহীদদের স্মরণ
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২২:১৮
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে হাজারও মানুষের ঢল নেমেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে হাজির হয়েছেন নারী, শিশুসহ সর্বস্তরের মানুষ।
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ভাষা শহীদদের প্রতি। এরপর তারা দু’জন কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে স্মরণ করেন ভাষা শহীদদের অবদান। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শ্রদ্ধা জানান শহীদ মিনারে।
পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে আবারও ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। এরপর শহীদ মিনারে একে একে শ্রদ্ধা জানান সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী, ডেপুটি স্পিকার, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট, তিন বাহিনীর প্রধান, আইজিপি, অ্যাটর্নি জেনারেল ও ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত।
এরপরই মূলত শহীদ মিনারের বেদি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। এ সময় শুরুতেই শ্রদ্ধা জানান ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য, ঢাবি শিক্ষক সমিতি ও ঢাবি সাংবাদিক সমিতি। এরপর রাজনৈতিক দলগুলো একে একে ফুল নিয়ে হাজির হয় শহীদ মিনারের বেদিতে। শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সারি ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
রাজধানীর পলাশীর মোড় হয়ে জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তা দিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রবেশের পথ রাখা হয়। এই পথে প্রবেশ করে শ্রদ্ধা জানিয়ে সবাই বের হয়ে যান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে দিয়ে দোয়েল চত্বর হয়ে। শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হওয়া সংগঠনগুলোর সঙ্গে ছিল ব্যানার, ফুলের তোড়া। আর সাধারণ মানুষের হাতে হাতেও ফুল ও ফুলের তোড়া।
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিক থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন জড়ো হতে থাকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকায়। সাধারণ মানুষরাও রয়েছেন এই লাইনে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের প্রবেশ পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলের পলাশী গেটের সামনে একটি ও জগন্নাথ হলের মোড়ে আরেকটি ব্যারিকেড দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই দুটি ব্যারিকেড পার হয়েই সবাইকে পৌঁছাতে হয় শহীদ মিনারে।
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর এই আয়োজন চলে সুশৃঙ্খলভাবে। পুলিশ, র্যাবসহ সব ধরনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে গোটা এলাকায়। এর বাইরেও শহীদ মিনারের বেদির আশপাশে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করছেন বিএনসিসি সদস্যরা।