পরীক্ষা সোনিয়া'র, হলে আসলেন স্বপ্না
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০০:৪৫
চাচাতো বোন সোনিয়া খাতুনের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসে দুই বছরের সাজা ভোগ করতে যাচ্ছে স্বপ্না খাতুন পাখি (২৪) নামে এক নারী। সেই সাথে ঐ মাদ্রাসার এক শিক্ষক আবু তৈয়ব (৩৮)কে ১ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের জন্য যশোরের মনিরামপুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমানের ভ্রাম্যমাণ আদালত এ সাজা দিয়েছে।
৭ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) নেংগুড়াহাট দারুল উলুস সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষার বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় চাচাতো বোন সোনিয়া খাতুনের পরিবর্তে পরীক্ষা দিতে আসে স্বপ্না খাতুন পাখি। ঐ কেন্দ্রে একজনের পরিবর্তে অন্যজন পরীক্ষা দিচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্র পরিদর্শনে যান মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান। এসময় তিনি স্বপ্নাকে প্রশ্ন করেন এবং প্রবেশপত্রের সাথে তার চেহারার মিল খোঁজার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রবেশপত্রে চেহারা অস্পষ্ট থাকায় পরবর্তীতে ওই কক্ষের পাড়দীয়া মাদরাসার অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে মেয়েটির পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, পরীক্ষায় অংশ নেয়া মেয়েটি সোনিয়া না।
পরবর্তীতে পাড়দীয়া মাদরাসার শিক্ষক আবু তৈয়বকে ডেকে স্বপ্নার পরিচয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ঐ শিক্ষক জানান, এই পরীক্ষার্থীই সোনিয়া। পরে অবশ্য স্বপ্না ও আবু তৈয়ব আদালতের কাছে নিজেদের দোষ স্বীকার করেন।
এ প্রসঙ্গে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান বলেন, পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন ১৯৮০ এর ৩ (খ) ধারায় স্বপ্নাকে দুই বছর ও শিক্ষক আবু তৈয়বকে ওই আইনের ১৩ ধারায় ১ বছরের বিনাশ্রমে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।