স্ত্রী ও দু’কন্যাকে হত্যার পর আত্মহত্যা
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০১৮, ১৩:৪৪
কক্সবাজার পৌরসভার গোলদীঘিরপাড় এলাকার একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
১৭ জানুয়ারি (বুধবার) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শহরের বৌদ্ধ মন্দির সড়কের শিয়াইল্ল্যা পাহাড় এলাকা থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে পরিবারে চার সদস্য একসাথে লাশ হবার কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ ও স্বজনরা।
কক্সবাজার মডেল থানার ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়ার ধারণা, স্ত্রী ও দু’কন্যা সন্তানকে হত্যার পর গৃহকর্তা নিজে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। অনেকে মনে করছেন ঋণের দায়ে দিশেহারা হয়ে সপরিবারে মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছে সুমন। কিন্তু, সুমনের সেরকম কোন আর্থিক ঋণের তথ্য পাওয়া যায়নি।
নিহতরা হলেন, শহরের বৌদ্ধ মন্দির সড়কের শিয়াইল্ল্যা পাহাড় এলাকার ননী গোপাল চৌধুরীর ছেলে সুমন চৌধুরী (৩৩), বেবী চৌধুরী (২৫), অবন্তিকা চৌধুরী (৬) ও জ্যোতি চৌধুরী (৩)।
সুমন চৌধুরীর বড় ভাই অমিত চৌধুরী জানান, বুধবার অফিস থেকে দুপুরের খাবার খেতে এসে সুমনদের সাথে তার দেখা হয়। সুমন বাইরে দাঁড়িয়ে ছোট মেয়েদের খাইয়ে দিচ্ছে। আমি খাবার শেষ করে ২টার দিকে আবার অফিসে চলে যাই। এরপর সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের দরজা খোলা হচ্ছে না জানার পর ৬টার দিকে পুলিশের সাথে আবার বাড়ি আসি।
তিনি বলেন, সপরিবারে আত্মহত্যা করার মতো কোন অভাবের কথা সুমন বা বেবি আমাদের সাথে শেয়ার করেনি। আর স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কোন পারিবারিক কলহ ছিল না।
খবর পেয়ে পুলিশ সুপারসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পৌরসভার মেয়র কাউন্সিলরগণ ঘটনাস্থলে আসেন। মুহূর্তে খবরটি ছড়িয়ে গেলে উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে এসে ভীড় জমান।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) ড. এ কে এম ইকবাল হোসেন জানান, এটি চরম দুঃখজনক ঘটনা। দুই মেয়ে অবন্তিকা ও জ্যোতি এবং স্ত্রী বেবীকে হত্যার পর সুমন নিজেই আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। ভেতর থেকে দরজাটি বন্ধ না থাকলে অন্যকিছু ভাবা যেত। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল রহস্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।