'আসেমে বাংলাদেশের জঙ্গি দমন ভূমিকা প্রশংসিত'
প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০১৬, ০০:৫১
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা সদ্য সমাপ্ত আসেম সম্মেলনে প্রশংসিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটোরে একাদশ এশিয়া-ইউরোপ (আসেম) সম্মেলনে অংশ নিয়ে দেশে ফেরার পরদিন রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা শুধু প্রশংসিতই হয়নি, বাংলাদেশকে এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে শান্তি ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ভূমিকা বিশেষ স্বীকৃতি পেয়েছে”।
গুলশানের ক্যাফেতে জঙ্গি হামলায় বাংলাদেশিরা ছাড়া যে তিনটি দেশের নাগরিক নিহত হন, সেই তিন দেশ জাপান, ইতালি ও ভারতের প্রতিনিধিরাও এই সম্মেলনে অংশ নেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারী ও ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো জেনতিলোনির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, “ইতালি, জাপান ও ভারতের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকসমূহে আমি ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বিদেশি নাগরিকদের স্মরণে গভীর শোক ও সমবেদনা জানাই। সরকারের চলমান তদন্ত কার্যক্রমের বিষয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী, ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতিকে আমি অবহিত করি। আমি তাদের আশ্বস্ত করি যে, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে জাপান, ইতালি ও ভারতসহ অন্য যে কোনো বন্ধুপ্রতীম দেশের কাছ থেকে প্রয়োজন মোতাবেক সহযোগিতা গ্রহণ করা হবে।”
এ কথায় তিন দেশের প্রতিনিধিরা আশ্বস্ত হয়েছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাপানের প্রধানমন্ত্রী আমাকে এই মর্মে আশ্বস্ত করেন যে, গুলশানের ঘটনা জাইকাসহ জাপানের উন্নয়ন সহযোগিতা এবং বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিংবা জাপানের প্রতিশ্রুত ছয় বিলিয়ন ডলার ছাড়করণের ক্ষেত্রে কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলবে না। একইভাবে সন্ত্রাসবাদকে একটি বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে আশ্বস্ত করেন যে, এ ঘটনার কারণে ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না।”
এছাড়া সম্মেলনে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের সঙ্গে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সামগ্রিকভাবে এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বৈশ্বিক অঙ্গণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল, দৃশ্যমান ও সুসংহত করেছে”।