স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:০২
পরকীয়ার জেরে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে হত্যার দায়ে স্ত্রী ছালেহা খাতুন শিউলিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক আবদুর রহমান সরকার।
রায়ে বিচারক তার পর্যবেক্ষণে বলেন, আসামি যে অপরাধ করেছে তা খুবই মর্মান্তিক, বিভীষিকাময়, নারকীয় ও ভয়ঙ্কর। এ অপরাধ সভ্য সমাজের মানুষের কাছে কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তার অপরাধ বর্বরতা ও সভ্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। আসামিকে এই মামলার দণ্ড প্রদানের ক্ষেত্রে আইনত বা ন্যায়ত কোনো সুযোগ বা আদালত থেকে আসামি কোনো প্রকার অনুকম্পা বা দয়া পেতে পারে না।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মো. আবদুল কাদের পাটোয়ারী জানান, ৬ ডিসেম্বর (বুধবার) রায় ঘোষণার সময় আসামি ছালেহা খাতুন শিউলি আদালতে হাজির ছিলেন। তাকে মৃত্যুপরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, মহসীন তার স্ত্রী ছালেহা খাতুন শিউলি এবং দুই ছেলেকে নিয়ে মিরপুরের পল্লবীতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। সালেহার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জের ধরে ২০১২ সালের ২৬ অক্টোবর দুপুর ১টায় আসামি স্বামীর লিঙ্গ ও অন্ডোকোষ পুরোটাই শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে গলার শ্বাসনালি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহত মহসীনের ভাই মজনু বাদী হয়ে রাজধানীর পল্লবী থানায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পরে পুলিশ সালেহাকে গ্রেপ্তার করলে তিনি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিপ্লব কুমার শীল এ ঘটনায় আসামি শিউলিকে একমাত্র আসামি করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দিলে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলী হয়ে আসে। এ আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।