অভিনয়ের কথা বলে তরুণীকে ধর্ষণ, ৩ জন রিমান্ডে
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০১৭, ০০:২২
নাটকে অভিনয়ের সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলে নরসিংদী নিয়ে গণধর্ষণ করার অভিযোগে এক তরুণী রামপুরা থানায় মামলা করেছেন। তার মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন- আসামি নাহিদ শাহরিয়ার রাজ, হারুন ভূঁইয়া ও মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়া। দুই আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত গত ১২ নভেম্বর (রবিবার) আসামিদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান খান তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে দশ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আদালতে মনিরুজ্জামান তার প্রতিবেদনে বলেন, তদন্ত করে জানা যায় আসামি নাহিদ শাহরিয়ার রাজ ও ডিজে সোহাগ অর্থের বিনিময়ে ভিকটিম তরুণীকে অপর আসামিদের কাছে তুলে দেয়। আসামি হারুন তার নিজ প্রাইভেটকারযোগে তরুণীকে নিয়ে নরসিংদীতে নিয়ে হারুন, খোকা, আজাদ ও মাসুদ তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৪ নভেম্বর রাতে মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হন। এরপর গত ৮ নভেম্বর মেয়েটি বাদী হয়ে গণধর্ষণের মামলা করেন। মামলায় তরুণী অভিযোগ, রামপুরায় এনএস রাজ (নাহিদ শাহরিয়ার রাজ) নামের এক যুবক তাকে টিভি নাটকে অভিনয় করার প্রস্তাব দেন। এ ব্যাপারে কথা বলতে গত ৪ নভেম্বর রাতে তিনি হাতিরঝিল গেলে সেখানে রাজের পরিচিত ডিজে সোহাগ আসে। তাদের সঙ্গে ওই তরুণী নাটকের স্ক্রিপট নিয়ে কথা বলতে বলতে একে একে আসে হারুন মোল্লা, মাসুদ ও আজাদ। তখন রাত ১০টায় আইসক্রিম খাওয়ানোর কথা বলে হারুন মোল্লা তরুণীকে গাড়িতে ওঠায়। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নরসিংদীতে। সেখানকার একটি গাড়ির গ্যারেজে তাকে চারজন ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে তরুণীকে স্থানীয় একটি টেম্পোস্ট্যান্ড নামিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে মেয়েটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি হয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করান। তবে এখন পর্যন্ত মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
রামপুরা থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহা বলেন, এই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।