বিষ খেয়ে এক পরিবারের ৩ জনের ‘আত্মহত্যা’!
প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০১৭, ২৩:২৭
![](https://bangla.jagoroniya.com/templates/jagoroniya-v1/images/jagoronia.png)
![](/assets/news_photos/2017/11/02/image-12499.jpg)
১ নভেম্বর (বুধবার) রাত ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জে শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈয়খালি ইউনিয়নরে শ্রীধরপুর গ্রামে একই পরিবারের তিনজনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন, আব্দুল মোমিন (৫০), তার স্ত্রীর লুবনা বেগম(৪৪) এবং তাদের ছোট মেয়ে সানজিদা আক্তার (৯)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্ত্রী এবং দুই সন্তান সহ মোমিনের চারজনের সংসার। মোমিন মাছের ব্যবসা করতেন। বড় মেয়ে স্বর্ণা ও ছোট মেয়ে সানজিদা দুজনেই শ্রীধরপুরের একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। মেয়েদের পড়াশোনার খরচ যোগাতে হিমশিম খেয়ে মোমিন বিভিন্ন স্থান থেকে ধার করতে শুরু করেন। এই ধারের টাকা পরিশোধ করতে ক্ষুদ্রঋণ নেন। অভাবের সংসারে ঋণের চাপ নিয়ে প্রায়ই মোমিন ও তার স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। এরই ফলশ্রুতিতে কিছুদিন আগে ঝগড়া করে স্ত্রী লুবনা তার বাবার বাড়ি চলে যান। ৩০ অক্টোবর (সোমবার) মোমিন তার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে আর কখনো স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করবেন না, মারধরও করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে স্ত্রী ও মেয়েদের বাড়ি নিয়ে আসেন।
মোমিনের বড় মেয়ে স্বর্ণ আক্তার বলেন, বুধবার বিকেলে নতুন জামাকাপড় কিনার জন্য বাবা আমাদের সবাইকে বাজারে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। এ সময় আমি যেতে রাজি না হওয়ায় আমার মা আর ছোট বোনকে নিয়ে চলে যান। সন্ধ্যার পরও তারা বাড়ি না ফিরলে আমার দুশ্চিন্তা হতে থাকে। পরে শুনতে পাই তারা তিনজন বিষ খেয়েছে এবং তাদের আমাদের বাড়ির অদূরে একটি জমির মধ্যে লাশ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইলিয়াস বলেন, আমি এখানে এসে শুনেছি মোমিন আর্থিক সংকটে ছিলেন। এলাকাবাসী মোমিন, লুবনা ও সানজিদাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তারা মারা যান।
এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আলমগীর হোসেন বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনজনই বিষ খেয়ে মারা গেছেন। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এ ব্যপারে আমাদের তদন্ত চলছে।