শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার দায়ে ১১ জনের ২০ বছরের কারাদণ্ড
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০১৭, ১৪:৩৬
প্রায় তিন দশক আগে (১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট) ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে হামলা চালিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার আবদুর রশীদসহ ফ্রিডম পার্টির ১১ নেতাকর্মীকে দুটি ধারায় দশ বছর করে বিশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে এক বছর করে কারাদণ্ড পেয়েছেন তারা।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খন্দকার আবদুর রশীদ, মো. মিজানুর রহমান, মো. শাজাহান বালু, গাজী ঈমাম হোসেন, জর্জ মিয়া, গোলাম সারোয়ার মামুন, মো. সোহেল ওরফে ফ্রিডম সোহেল, গোলাম সারোয়ার মামুন, সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ, মো. হুমায়ুন কবির হুমায়ুন ও খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল।
অপর আসামি হুমাউন কবির ওরফে কবির নামে একজন খালাস পেয়েছেন। মামলায় মোট আসামি ছিল ১২ জন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে গোলাম সারোয়ার মামুন, জর্জ মিয়া, মো. সোহেল ওরফে ফ্রিডম সোহেল ও সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ আগেই কারাগরে ছিল। এ ছাড়া জামিনে থাকা চার আসামি গাজী ঈমাম হোসেন, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল, মো. মিজানুর রহমান ও মো. শাজাহান বালুও আদালতে হাজির ছিলেন। রায়ের পর এ আটজনকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অপর দিকে অন্য তিনজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খন্দকার আবদুর রশীদ, জাফর আহম্মদ মানিক ও মো. হুমায়ুন কবির হুমায়ুন পলাতক। খালাস পাওয়া হুমাউন কবির ওরফে কবির জামিনে ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে ফ্রিডম পার্টির নেতৃত্বে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। ওই সময় বাড়িতেই ছিলেন শেখ হাসিনা। ওই ঘটনায় বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল ৩২ নম্বরের বাড়িতে অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা করে। হামলাকারীরা তখন ‘কর্নেল ফারুক-রশিদ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়। তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করা হয়। দুই চার্জশিটে আসামিরা একই লোক। ২০০৯ সালের ৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন আদালত।