ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০১৭, ২০:২০
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে তার দলের স্কুল কমিটির এক নেত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই নেত্রীর মামা মোজাম্মেল হক সরকার বাদী হয়ে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং মারধরের অভিযোগে ৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া স্থানীয় থানা পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাত্বিতের অভিযোগ উঠায় আদালতের বিচারক শহিদুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ২৩ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুরে ওই আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এপিপি অ্যাড. আনোয়ার পারভেজ লিমন জানান, স্কুল ছাত্রী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ও একই বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউপির হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে।
মামলার আসামিরা হলেন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও বেলকুচির চরখাষিয়া গ্রামের রকিব উদ্দিন মাস্টারের ছেলে রিয়াদ হোসেন (২৫), একই উপজেলার চরচালা গ্রামের মিন্টু কসাইয়ের ছেলে আরমান হোসেন (২৬), একই গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে আল-আমিন হোসেন ও মৃত সোনা উল্লাহর ছেলে রুবেল শেখ, কলাগাছি গ্রামের মমিন শেখের ছেলে রতন শেখ (২৪) এবং গাড়ামাসি গ্রামের নিমাই ডাক্তারের ছেলে পাপ্পু।
২৩ অক্টোবর (মঙ্গলবার) বিকেলে অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ হোসেন বলেন, ওই মেয়েটি ১৩ অক্টোবর রাতে হঠাৎ আমার মেসে প্রবেশ করে ঘরের দরজা আটকে রেখে আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে মেস থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর সে থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে আমার বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন তাকে বিদায় করে দেন। আসন্ন বেলকুচি উপজেলা ছাত্রলীগের সন্মেলনে আমি সভাপতি পদের প্রার্থী। যে কারণে প্রতিপক্ষরা ওই মেয়েকে আমার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেনের দাবি, ওই মেয়েটি অভিযোগ করার জন্য থানায় এসেছিল। কিন্ত তার বাবা মামলা করতে রাজি না হওয়ায় তারা চলে যান।