সাভারে আশার মাঠকর্মী খুন, গ্রেপ্তার ২
প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:২৪
ঢাকার সাভার উপজেলায় নিখোঁজের ছয় দিন পর বেসরকারি ক্ষুদ্রঋণদাতা আশার মাঠকর্মী সাবিনা ইয়াসমিন উর্মি (৩০) এর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যাকে ঋণগ্রহণকারীরা হত্যা করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত সাবিনা ইয়াসমিন উর্মি গাইবান্ধা সদর থানার রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে। তিনি সাভার উপজেলার আশুলিয়া চক্রবর্তী এলাকায় স্বামী জাহিদ হাসানের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থেকে আশার মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
আশুলিয়া থানার এসআই আশরাফুল আলম জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে কবিরপুর দেওয়ানপাড়া এলাকা থেকে বুধবার রাতে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, দেওয়ানপাড়ার মোসলেম হোসেন (৩৮) ও তার স্ত্রী রাজিয়া আক্তার (৩৫)। তারা দুইজনেই আশার গ্রাহক।
এসআই আশরাফুল বলেন, গত বৃহস্পতিবার সাবিনা মোসলেমের বাড়িতে ঋণের টাকা উত্তোলনের জন্য যাওয়ার পর নিখোঁজ হন। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। ওই দিন রাতেই আশা কর্তৃপক্ষ আশুলিয়া থানায় জিডি করে। সাবিনার মোবাইল ফোন সর্বশেষ ব্যবহৃত হয় মোসলেমের বাড়ির আশপাশে। তদন্ত শেষে বুধবার মোসলেম ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেন।
এসআই আশরাফুল জানান, রাতেই তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোসলেমকে সঙ্গে নিয়ে দেওয়ানপাড়া বাংলাদেশ বেতারের সীমানার পাশে ঝোপের ভেতরে মাটি খুঁড়ে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, কয়েক মাস আগে আশা থেকে প্রায় এক লাখ টাকা ঋণ নেন মোসলেম। ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করায় সাবিনা তাদের চাপ দিচ্ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার কিস্তি উত্তোলনের জন্য মোসলেমের বাড়িতে যান সাবিনা। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মোসলেম ও তার স্ত্রীসহ কয়েকজন মিলে তার গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। লাশটি প্রথমে ড্রামে ভরে রাখা হয়। রাত আনুমানিক ১টার দিকে তারা বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে ঝোপের ভেতর মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখেন।
এসআই আশরাফুল বলেন, ঘটনার দিন সাবিনা বিভিন্ন সদস্যের কাছ থেকে ঋণের কিস্তি বাবদ প্রায় দুই লাখ টাকা উত্তোলন করেছিলেন, যা খোয়া গেছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে আশা কর্তৃপক্ষ।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।